বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে ছুরির আঘাতে খুন হল ছেলে। আর স্ত্রী ও সন্তানকে ছুরি মারার পাশাপাশি নিজের পেটেও ছুরি ঢুকিয়েছেন স্বামী হারেস মিয়া। ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহাগ (১৫) হারেস মিয়ার ছেলে। আর আহত হারেস (৫৫) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪২)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,ময়মনসিংহের ত্রিশালের রিকশাচালক হারেস মিয়া স্বপরিবার নিয়ে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম স্থানীয় একটি মিনি গার্মেন্টে চাকরি করে। আর ছেলে সোহাগও স্থানীয় একটি গার্মেন্টে চাকরি করে। আর মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। হারেস তার স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করে। এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের সংসারে ঝগড়া হয়। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে হারেস মিয়ার হাতে থাকা দাঁড়ালো ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করে। পরে মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। তখন হারেস তার ছেলে সোহাগকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে হারেস নিজের পেটে নিজেই ছুরি ঢুকিয়ে নেয়।এসময় তাদের চিৎকারে অপর ঘরে থাকা মেয়ে বিথী ঘুম ভেঙ্গে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে সোহাগসহ হারেস ও মনোয়ারা বেগমকে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct