চাঁদপুর সদরের পদ্মা ও মেঘনা নদীবেষ্টিত রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের দুর্গম লক্ষ্মীরচরে গত রবিবার ভোররাতে একদল দুর্বৃত্ত, জেলে পরিবারের এই গৃহবধুর ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে গৃহবধুর স্বামীর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে একেক করে ৬ জনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষকরা যাওয়ার সময় স্বামীসহ গৃহবধুকে হুমকি দিয়ে যায়। এই ঘটনা কাউকে জানালে গোটা পরিবারকে গুম করা হবে। শুধু তাই নয়, কোথাও গিয়ে যেন চিকিৎসা না নিতে পারে। তার জন্য অবরুদ্ধ করে রাখা হয় নির্যাতিতা গৃহবধুর পরিবারটিকে। শেষপর্যন্ত সোমবার রাতে কৌশলে চর থেকে পালিয়ে চাঁদপুর শহরে পৌঁছে পরিবারটি। এ সময় সদর মডেল থানায় গিয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলেন তারা। পরে পুলিশের সহযোগিতায় চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয়। ওই গৃহবধু জানান, একই এলাকার ফিরোজ (২২), সবুজ (২৫), বাবু (২৩), মোস্তফা (২১) এবং মুখোশপড়া আরো ২ জন। এই চারযুবক তাদের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় কিছু বুঝে উঠার আগেই যুবকদের একজন গৃহবধূর স্বামীর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে দেয়। পরে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় যুবকরা হুমকি দিয়ে যায়। এমন ঘটনা কাউকে জানালে গোটা পরিবার গুম করে ফেলে দেওয়া হবে। এরপর সদর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গৃহবধুকে। ঘটনার বিচার দাবি করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জানান তিনি। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের তৎপরতার কথা জানান চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী। তিনি জানান, মামলাটি তদন্ত এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হারুনুর রশিদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।