মদ খেতে না পেয়ে মানুষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ছিল কালুয়া নামের এক বানরের বিরুদ্ধে। মির্জাপুর জেলায় প্রায় ২৫০ জন মানুষকে আক্রমণ করেছে সে। যার মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে।জানা গেছে, এলাকারই এক তান্ত্রিকের পোষ্য ছিল কালুয়া। সেই তান্ত্রিকই বানরটিকে প্রতিদিন মদ খাওয়াত। কিছুদিনের মধ্যেই মদে আসক্তি তৈরি হয়ে যায় কালুয়ার। এরপর ওই তান্ত্রিকের মৃত্যু হলে কালুয়া মদ না পেয়ে রীতিমতো আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে। গোটা মির্জাপুরের ত্রাস হয়ে ওঠে কালুয়া। বন ও চিড়িয়াখানার কর্মীরা এসে দীর্ঘদিনের চেষ্টায় কালুয়াকে ধরতে সমর্থ হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কানপুর চিড়িয়াখানায়। সেখানকার চিকিৎসক মুহম্মদ নাসিরের কথায়, বেশ কয়েক মাস ধরে আলাদা খাঁচায় কালুয়াকে একলা রাখা হয়েছিল। কিন্তু তার আক্রমণাত্মক মনোভাবে কোনও পরিবর্তন হয়নি বরং দিনদিন তা বাড়তে থাকে। প্রায় তিন বছর তাকে চিড়িয়াখানায় রাখার পরও কোনো পরিবর্তন হয়নি।চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কালুয়াকে এখন ছাড়া হলে আবার সে মানুষের উপর আক্রমণ করবে। তাই তাকে মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, কালুয়াকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ায় একাধিক পশুপ্রেমী সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা বলছে চিড়িয়াখানায় আলাদা একটি খাঁচায় কালুয়াকে রাখা হলে এই সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু এভাবে একটি প্রাণীকে হত্যা করার কোনও মানে হয় না। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য সেসব শুনতে নারাজ।