করোনার এপিসেন্টার হিসেবে পরিচিত দেশগুলোতে ফেস মাস্ক পরায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণঘাতী ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে গবেষণায় দেখা যাচ্ছে। গবেষকরা জানান, করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব মানা এবং ঘরে থাকার চেয়েও কার্যকরী হলো ফেস মাস্ক পরা। সংক্রমণের হারের নাটকীয় পরিবর্তন হয় যখন গত এপ্রিলের ৬ তারিখ ইতালিতে এবং ১৭ তারিখ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। শুধুমাত্র মুখ ঢেকে রাখার কারণে বাতাসের মাধ্যমে ছড়ানো করোনা ভাইরাস থেকে হাজার হাজার মানুষ রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।তাই বলাই যায়, করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরাই এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এদিকে, লকডাউন উঠে যাওয়ায় বাইরে মানুষের সমাগমও বাড়ছে।ফলে প্রতিদিন নতুন মাস্কের চাহিদা বাড়ছে। তবে একই এক একাধিকবার ব্যবহার করলে সেটি থেকে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায় বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।এমন একটা পরিস্থিতিতে স্বস্তিদায়ক এক খবর দিলেন ইসরায়েলি বিজ্ঞানীরা। ইসরায়েলের গবেষকরা বলছেন, তারা এমন একটি ফেস মাস্ক তৈরি করেছেন, যা নিজে নিজে পরিস্কার হয়ে যায়। এই মাস্কে একটি ইউএসবি পোর্ট আছে যেটি দিয়ে এটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়। মাস্কের ভেতর কার্বন ফাইবারের একটি স্তর আছে, ইউএসবি সংযোগের মাধ্যমে যেটিকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত করা যায়। এই তাপে করোনাভাইরাস মরে যায়।