২০১৭ সালের ভোটে মণিপুরের ৬০ আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছিলো ২১টি আসনে এবং কংগ্রেস ২৮ আসন জেতে। NPP সহ ছোটো দলগুলির সহায়তা নিয়ে সরকার গড়েছিল বিজেপি। মূখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিজেপি নেতা নংথম্বম বীরেন সিং। তবে সংকটে মুখে মণিপুরের বিজেপি সরকার। তিন বিজেপি বিধায়ক সহ নয় জন বিধায়ক বিজেপি জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে।
সেই সঙ্গে মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল কংগ্রেস। রাজ্যপাল নাজমা হাপতুল্লার কাছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোটের দাবি জানাতে তৈরি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা ওকরাম ইবোবি সিংহ। অনাস্থার ফল কংগ্রেস-এনপিপি জোটর পক্ষে গেলে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য হাতছাড়া হবে গেরুয়া শিবিরের।সূত্রের খবর যে রাজ্যের অন্যতম প্রথমসারির দল এনপিপি বিজেপি থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে কংগ্রেসের দিকে হাত বাড়িয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের এক জন ও নির্দল মিলিয়ে আরও পাঁচজন বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করেছে তাঁরা কংগ্রেস-এনপিপি জোটকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিজেপি থেকে আরও কয়েকজনের আসার কথাও জানিয়েছেন ওকরাম ইবোবি সিংহ। এনপিপি নেতা ও প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী জয়কুমার সিং বলেন যে কংগ্রেসের নেতৃত্বে সরকার গঠন করা হবে।
কংগ্রেসের ৮ বিধায়ককে ভাঙিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির বীরেন সিংহ। তাঁদের একজনের সদস্যপদ খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট, বাকিদেরও খারিজ হওয়ার পথে। মণিপুর বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ২৭। সরকারের সমর্থনে আছেন ২৩ জন। অন্যদিকে কংগ্রেসের দিকে আছে ২৬ জন।
বিজেপি অবশ্য এখনও আশাবাদী যে মণিপুরের শাসন তাদের হাতেই থাকবে। মুখপাত্র এস রাজেন বলেন যে তিনজন গেলেও তাদের সরকার পড়বে না। স্পিকার যদি যে সাতজন বিধায়ক কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসেছেন, তাদের বিধানসভায় প্রবেশ করে ভোট দিতে দেন, তাহলে অনাস্থা ভোটে জয়ী হব আমরাই।
মণিপুরে বিজেপি সরকার থেকে যাবে নাকি কংগ্রেস সরকার গঠন করবে, নাকি জারি হবে রাষ্ট্রপতি শাসন? সেটাই দেখার এখন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct