গালওয়ান উপত্যকায় ২৩ ভারতীয় সেনার মৃত্যু নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও কেন চীন এরকম আগ্রাসী ভূমিকা নিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঠিক কি কারনে চিন হঠাৎ ভারতীয় সেনাদের আক্রমণ করতে লেগে পারল তা নিয়ে নানা খবর সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেল এনডিটিভি সূত্র জানিয়েছে, ১৫ জুন ভারতীয় সেনাদের ছোট একটি টহল দল গালওয়ান নদীর ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় একটি চীনা তাঁবু উৎখাত করতে যায়। গত ৬ জুন উভয় পক্ষের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বৈঠকে ওই তাঁবু সরিয়ে নিতে সম্মত হয় চীন। এছাড়া ওই আলোচনায় দুই দেশের সেনাবাহিনীকে আলাদা রাখতে একটি অঞ্চল তৈরি করে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ঐক্যমত আসে। সেই তাঁবু নিয়েই মূলত গন্ডগোলের সূত্রপাত।
উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘাতের সময় বেশ কিছু সেনা সদস্য গালওয়ান নদীর বরফ শীতল পানিতে পড়ে যায়। ওই সংঘর্ষে নিজেদের ২০ সেনার মৃত্যুর কথা স্বীকার করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি সংঘর্ষের সময় অন্তত ৪৫ চীনা নিহত বা মারাত্মক আহত হয়েছে। ওই ঘটনায় দুই দেশের উত্তেজনা নতুন করে বেড়েছে।
সংঘর্ষ নিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, চীনা সেনা সদস্যরা ভারতীয় কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর ওপর হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে শারিরীক সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষই লাঠি ও তাঁরকাটা জড়ানো রড নিয়ে সংঘাতে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ শুরুর পর উভয় পক্ষের অতিরিক্ত সেনা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সোমবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া ওই সংঘাত প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে চলে। মারাত্মক ঠান্ডা এবং হাইপোথারমিয়া পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তোলে। মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে এক কর্নেল ও দুই সেনা সদস্যের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর বিকেলে অপর এক বিবৃতিতে আরও ১৭ সেনার মৃত্যুর কথা জানায়। মারাত্মক ঠান্ডায় এসব আহত সেনা সদস্যের মৃত্যু হয় বলে জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
যদিও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গালওয়ান এলাকা থেকে উভয় পক্ষই সেনা সদস্য সরিয়ে নিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct