করোনা আক্রান্ত হলেও চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য। কারণে আক্রান্ত হোক বা না হোক এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাটা অনেকে সেফটি মনে করেন। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে থাকতে বিষণ্নতা গ্রাস করে।সারাদিন বাড়িতে বন্দি থাকায় সময় যেন কাটতে চায় না। অনেকে হোম কোয়ারেন্টাইন অবস্থাতে কঠিন মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সবাই। এ চাপ বেড়ে যায় তখনই, যখন সব কাজ বন্ধ করে আগত বিপদের অপেক্ষা করতে থাকেন। যত কাজ মুক্ত থাকুন না কেন, মানসিক চাপ বেড়ে যায়। একই সঙ্গে শরীর বিপদের সঙ্গে যুদ্ধ করার শক্তি হারিয়ে ফেলে। অনেকেই বলেন, সময় কাটে শুধু ঘুমে। ঘুম থেকে উঠে একবার ভাবি, কী কাজ করবো এখন? এটা ভেবে বের করার আগেই আবার ঘুমিয়ে পড়ি।
এই সমস্যা সমাধানের উপায় বা চ্যালেঞ্জ মূলত কয়েকটি।
স্বাস্থ্য বিষয়ক গাইডলাইনগুলো অনুসরণ করা। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দাতে নিজেকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল রাখা। দক্ষতা অর্জনে বিশেষ সময় দেওয়া। এবার এ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা:
মুখ, নাক এবং চোখ দিয়ে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে। বাতাসের মাধ্যমে নয়। এই মুখ, নাক এবং চোখে হাতের সংস্পর্শের মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই হাত ১ ঘণ্টা পরপর সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে পরিষ্কার করতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে এলে কোথাও না বসে কাপড়চোপড় ধুয়ে ফেলব বা একটা ঢাকনাওয়ালা বালতিতে ঢেকে রাখব এবং সময় মতো ধুয়ে নেব। কোনো কাপড় ধোয়া সম্ভব না হলে উজ্জ্বল রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নেব। সম্ভব হলে ঘরে এসে হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করে নেব অথবা হাত-মুখ পরিষ্কার করব।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো:
সুযোগ মতো লবণযুক্ত গরম পানি দিয়ে গলা পরিষ্কার (গড়গড়) করব। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার খাব। সবুজ শাকসবজি, সুষম খাবার, মাছ, মাংস, ডিম ভালো করে সিদ্ধ করে খাব (ডিমের পোঁচ খাওয়া যাবে না) যাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনোভাবেই ঠাণ্ডা কোনো খাবার খাওয়া যাবে না। কিছু সময় পরপর গরম কফি, চা, গরম জল বা স্যুপ খেলে ভালো হয়। এগুলোর পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা চালাতে হবে।
অর্থনৈতিক মন্দাতে নিজেকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল রাখা:
গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে স্থবিরতা নেমে এসেছে, তাতে ৩৩০ কোটি কর্মক্ষম মানুষের আংশিক বা পুরোপুরি বেকার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। এই পরিস্থিতির কথা ভুলে গেলে হবে না।
সেই পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুতি নিতে এখনকার এই ফ্রি সময়টাকেই কাজে লাগাতে হবে। না হলে করোনা থেকে বাঁচলেও চাকরি হারিয়ে আরেক বড় ধরনের বিপদের মুখোমুখি হতে হবে। সেই বিপদকে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি হিসেবে এই অবসর সময়টাতে নিজের দক্ষতাকে অনেক গুন বাড়িয়ে নিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct