খ্রিস্টান ধর্মযাজক এন্ড্রু ব্রানসনকে গ্রেপ্তার করার পর যুক্তরাষ্ট্র এক বিবৃতিতে অপমানজনকভাবে হুমকি দিয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান তার জবাবে বলেন, ‘তুরস্ক কারো হুমকির ভাষাকে তোয়াক্কা করে না।’
এরদোগান বলেন, ‘আমাদেরকে হুমকি দিয়ে কেউ কোনোদিন কিছু অর্জন করতে পারেনি। আমরা যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর প্রতি সবচাইতে বেশি সংহতি দেখিয়েছি। কোরিয়া যুদ্ধের সময়ও আমরা তাদের সাথে ছিলাম। তুরস্কের জন্য এরকম অপমানজনক ভাষার হুমকিকে বিবেচনায় নেয়া ঠিক হবে না যেখানে আমরা ন্যাটোর প্রতি সর্বোচ্চটা দিয়েছি। এবং আমাকে ক্ষমা করুন, কিন্তু এরপরও আমরা এমন হুমকিকে তোয়াক্কা করবো না।’
২৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যাজক এন্ড্রু ব্রানসনকে দীর্ঘ সময় ধরে আটক রাখার কারণে তুরস্ক বড়সড় নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের খ্রিষ্টান ধর্ম যাজক এন্ড্রু ব্রানসন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যরোলিনা রাজ্য থেকে তুরস্কে এসেছিলেন এবং সেখানে দুই দশকেরও অধিক সময় ধরে বসবাস করে আসছেন। তাকে কুর্দিস্থান ওয়ার্কাস পার্টির(পিকেকে) সাথে যোগাযোগ রক্ষার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে ফেতুল্লা পন্থি সন্ত্রাসী সংগঠন (ফেতু’র) সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কারণ এই সংঘঠনটিকে আঙ্কারা ২০১৬ সালে তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনার দায়ে অভিযুক্ত করে। ব্রানসনকে তুরস্ক দীর্ঘ ২১ মাস কারান্তরীণ রাখার পর তাকে জুলাই থেকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তার মুক্তির ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের প্রতি বারবার চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct