২০১৭ সালে চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়েসংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল ভারতের। অরুণাচল সীমান্তে ডোকলামে ত্রিদেশীয় সীমান্তে সেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশের বাহিনী। সেবার কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার মাধ্যমে বিতর্কের অবসান ঘটেছিল। এবার ভারতীয় সীমান্তে চিনা সেনারা অবৈধ প্রবেশ করায় ফের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যাশা এবারও সেই পথেই সংকট উত্তরণ ঘটতে পারে। ক্রমশ বেড়ে চলা উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে চিন আলোচনায় বসতে চেয়েছে ভারতের সঙ্গে। তবে এবার বিবাদ লাদাখ নিয়ে। লাদাখে সৃষ্ট সংকট নিয়ে শনিবার দুই দেশের মধ্যে সেনা পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
দুই দেশই পূর্ব লাদাখে অতিরিক্ত বাহিনী, সামরিক যান ও প্রচুর অস্ত্রসম্ভার পাঠিয়েছে। এর মধ্যেই গত ৫ মে সন্ধ্যায় প্রায় ২৫০ ভারতীয় ও চীনা সেনা সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। পরে গত ৯ মে উত্তর সিকিমেও একই রকম ঘটনা ঘটে। এনডিটিভি বলছে, গত কয়েকদিন ধরেই লাদাখ সীমান্তে সেনা তৎপরতা বাড়িয়েছে উভয় দেশ। এরপর শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এনডিটিভি সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে দিল্লির তরফ থেকে বেইজিং-এর কাছে আলোচনার অনুরোধ জানানো হলে চীন ভারতের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। দুই দেশের সীমান্তবর্তী ভারতের অন্তর্গত চুশুল-মোলদো এলাকায় এই বৈঠক হবে। বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং।
এর আগে লাদাখ ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার স্থানীয় স্তরে কথা হয়েছে। তবে কোনও বৈঠকেই ফলপ্রসু কিছু উঠে আসেনি। ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে এত গুরুতর সংঘাতমূলক পরিস্থিতি এর আগে দেখা যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct