দেশে এক লক্ষ মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে সময় লেগেছিল ১০৯ দিন। পরের ন’দিনে সংক্রমিত হন আরও পঞ্চাশ হাজার। আর মাত্র ছ’দিনেই পঞ্চাশ হাজারের বেশি সংক্রমণে দেশ দু’লক্ষ পেরিয়ে গেল সারা দেশে। দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা সকাল দশটা পর্যন্ত ২,০৭৬, ১৫। আর মৃত্যু সংখ্যা ৫৮১৫। লক্ষের গণ্ডি পেরনোর পনেরো দিনের মধ্যেই দু’লক্ষ ছুঁয়ে ফেলল দেশে করোনা সংক্রমণ যা সত্যি আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সমাজবিদদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘আনলক’ ঘোষণা করার একদিন পরই এই বৃদ্ধি আসেনি সংকেত। রাজ্যে-রাজ্যে বিভিন্ন হাসপাতাল মিলিয়ে চিকিৎসাই চলছে প্রায় এক লক্ষ মানুষের। এখন প্রতিদিনই আট হাজারের বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে সরকারি হিসাবেই। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভারতের মতো বিশাল জনঘনত্বপূর্ণ দেশে স্বভাবতই উদ্বেগের। ফাঁপা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল-হকিকত আরও বেশি প্রকট হয়ে উঠেছে এই পর্বে। প্রতিদিনের সংক্রমণ, মোট সংক্রমণ যখন বেড়েই চলেছে, তখন লকডাউন তুলে নেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায়, সংক্রমণ প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী বা তার সরকার এখনো দিশা দেখতে পারেনি।২৪ মার্চ মধ্য রাত থেকে দেশকে আচমকা লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়ার সুফলই বা কী, সেই প্রশ্নও উঠছে। ভারতে মৃত্যু হার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম।