জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার একটা সিন্ধান্তে ছিনিয়ে নিয়ে ছিলো কমল নাথের মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার। তার সঙ্গে হাত ছাড়া হয়ে যায় কংগ্রেসর মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা। প্রসঙ্গত কয়েক মাস আগে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছেরে বিজেপিতে যোগদান করেন। সিন্ধিয়ার সঙ্গে যোগদান করেন আরো ২২ জন বিধায়ক। ফলে মধ্যেপ্রদেশে ক্ষমতা হাত ছাড়া হয় হাত শিবিরের।
চেয়ার হাত ছাড়া হবার পর কমল নাথ চুপচাপ বসে নেয়। সিন্ধিয়ার বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার জন্য উপনির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে বিশেষ রাজনৈতিক রণকৌশল নিয়ে মাঠে নামছে কংগ্রেস। আর সেই রণকৌশল মূলে থাকছে প্রশান্ত কিশোর। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
আগামী চারমাসের মধ্যে মধ্যপ্রদেশের ২৪টি আসনে উপনির্বাচন। এর মধ্যে ২২টি কেন্দ্রে সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠরা পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস চাইছে সিন্ধিয়ার গড়ের এই ২২টির মধ্যে অন্তত ২০টি আসন দখল করতে। তার জন্য তিন ধাপের বিশেষ পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস। প্রথম ধাপের পরিকল্পনা রণকৌশল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরকে। দ্বিতীয় ধাপে, প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কর্পোরেট সংস্থাকে। এবং তৃতীয় ধাপে দলের বর্ষীয়ান নেতাদের ফিরিয়ে এনে সিন্ধিয়া সমর্থকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামানো।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে গুণা কেন্দ্রেই পরাস্ত হয়েছেন সিন্ধিয়া। ফলে সিন্ধিয়া হারানো খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তাছাড়া সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানে করার পর যে সব বিজেপি নেতা ও কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়েছেন তাদেরকে দলে নিয়ে তাদের ক্ষোভকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে হাত শিবির।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct