নয়াদিল্লি ও ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগ জেলার পর একই ধরনের আরও একটি ঘটনা ঘটলো রাঁচিতে।
গতকাল সোমবার সকালে রাঁচির একটি ভাড়া বাড়ি থেকে একই পরিবারের সাতজনের লাশ উদ্ধার করেছে লোকাল থানার পুলিশ। সাতজন লাশের মধে দুজনের গলায় ফাস লাগানো ছিল আর অন্য পাঁচজন মেঝেতে কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তাদের মধে দুটি শিশুও ছিল।
স্থানীয় লোকজনের কাছে থেকে জানা যায়, গতকাল সকালে দীপক ঝাঁর মেয়েকে স্কুলভ্যান নিতে আসে কিন্তু কোনো সাড়া না মেলাই স্থানীয় লোকজনকে জানান স্কুলভ্যানের চালক। লোকজন বাড়িতে গিয়ে দরজায় আঘাত করলে দরজাটি খুলে যায়। তখন দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় ও বাকিদের মেঝেতে কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সাতজনের লাশ উদ্ধার করে।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন দীপক ঝাঁ, তাঁর বৃদ্ধ বাবা, মা, ছোট ভাই রূপেশ (৩৮), স্ত্রী ও দুই সন্তান। দীপক কুমার ঝাঁ (৪০) পরিবারের সাত জন সদস্যকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। পরিবারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। বাবা ছিলেন রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী।
ডিআইজি অমোল বি হোমকর সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ খোঁজ নিয়ে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, অর্থকষ্টে ছিল দীপক ঝাঁর পরিবার। শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসার জন্য তিনি ২০ লাখ টাকা ধার করেছিলেন। ধারের টাকা শোধ করার জন্য তাঁর ওপর আনেক চাপ ছিল। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন দীপক। হতাশ হয়ে সপরিবারে তাঁরা আত্মহত্যা করতে পারেন। মৃত্যুর আগে এক বিশাল সুইসাইড নোটও রেখে যান দীপক। এখন পুলিশ আত্মহত্যার কারণ তদন্ত করে দেখা শুরু করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct