X
১৬ মে, ২০২০, শনিবার১৫:০৮
স্বামীকে ফেলে প্রেমিককে বিয়ে করে সংসার করার জন্য অভিনব কৌশল অবলম্বন করে স্ত্রী মুক্তি বেগম। পালিয়ে যাওয়ার আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ছবি আগে থেকে এডিট করে রাখে। তারপর প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ননদের মোবাইলে ইমো থেকে হত্যা করা হয়েছে এমন ছবি পোস্ট করে এবং একটি ছোট বার্তা পাঠায়। ওই ছোট বার্তায় বলা হয়, ‘তুই যেই হোস এই মেয়েটার আত্মীয়দের বলে দিস, আমি ওকে খালাস করে দিয়েছি, ওর সব জেদ আজকে শেষ করছি। বাড়ি যাচ্ছিল তাই না? আসল বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম। লাশটা খুঁজে নিশ। টাটা।’ এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় স্ত্রী মুক্তির মোবাইল। ঘটনার আগে চলতি মাসের গত ১১ মে মুক্তি বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুর থেকে নিখোঁজ হয় মুক্তি। এরপর স্বামী আকমল হোসেন ওই দিনই বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এবং ময়ময়সিংহ জেলা পুলিশের সহায়তায় ১৩ মে মুক্তি ও প্রেমিক আবেদকে ময়ময়সিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেবগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে নাটোর নিয়ে আসে। নাটোর পুলিশ সুপার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আকমল হোসেন ও মুক্তি বেগম তারা সম্পর্কে মামাত-ফুফাত ভাইবোন। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আকমল হোসেন স্ত্রী মুক্তি বেগমকে সাথে নিয়ে ঈশ্বরদী শহরে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে একটি ভ্যাটেনারি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ভাড়া থাকার সময় সানোয়ার হোসেন আবেদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মুক্তি বিবাহিতা বিষয়টি আবিদের কাছে গোপন করে। এজন্য সে নিজেকে হত্যার নাটক করে।
