মুম্বাই থেকে বাড়ি ফিরল রানীনগরের পাচার হওয়া কিশোরী। উল্লেখ্য গত ১৭ জুলাই রানীনগরের এক মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী নিখোজ হয়।ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রানীনগর থানার পুলিশ। তার দিন কয়েকের মধ্যেই কিশোরী বাড়িতে ফোন করে জানায় তাকে অপহরণ করে পাচার করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের সুত্র মারফত তদন্ত শুরু করে রানীনগর থানার পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে নম্বর টি মুম্বাইয়ের। এরপর মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ যোগাযোগ করে মুম্বাই পুলিশের সাথে। পাশাপাশি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যও নেওয়া হয়।মুম্বাই পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তৎপরতায় ২২ জুলাই মুম্বাইয়ের দাদর স্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি লজ থেকে উদ্ধার হয় কিশোরী। রানীনগর থানার ওসি অরুপ রায়ের উদ্যোগে রানীনগর থানার এক পুলিশ আধিকারিক, মহিলা পুলিশ কর্মী ও কিশোরীর পরিবারকে মুম্বাই পাঠানো হয়।আদালতের নির্দেশে শনিবার কিশোরীকে তার পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রায় দুই সপ্তাহ পর ঘরে ফিরল ঘরের মেয়ে।আতঙ্ক আর ভয় চোখেমুখে নিয়েই কিশোরী জানায়।স্কুল থেকে ফেরার পরে সেদিন ব্যাঙ্কের কাজে সেখপাড়া বাজারে গিয়ে ছিলাম। মোড়ের মাথায় কয়েকজন যুবক আলাপ জমায়। এরপর তাকে পানীয়র সাথে কিছু একটা খাইয়ে দেয়।তারপর আর কিছুই মনে নেই।জ্ঞান ফিরলে কিশোরী বুঝতে পারে সে পাচার হয়েগেছে ।আর তারপরেই সে বুদ্ধি করে বাড়িতে ফোন করে।আর মেয়ের বুদ্ধিমত্তা আর পুলিশের তৎপরতায় ঘরের মেয়ে ঘরে ফেরায় স্বভাবতই খুশি কিশোরীর পরিবারের লোকজন। ডোমকল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মাকসুদ হাসান বলেন মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা হচ্ছে এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত আছে।
কৃতজ্ঞতা: পুবের কলম
আরও পড়ুন: