মধ্যপ্রদেশেরসাতনা থেকে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রেরনাসিকে। লকডাউনের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন দু স্বামী স্ত্রী। কাজবন্ধ, রোজগারবন্ধ, খাবারনেই, নেইবাড়িভাড়া দেয়ার ক্ষমতা। তাই বাড়িওয়ালা ঘর ছেড়ে দিতে বলেন। ভেবেছিলেন ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরে যাবেন। কিন্তু ট্রেন না পেয়ে বাধ্য হয়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার মনস্থ করেন। স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। তাই চিন্তা ছিল স্বামীর। সেজন্য এক স্ত্রীকে না ছেড়ে নিজেই সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ির উদ্দেশ্যে। হাজারহাজারপরিযায়ীশ্রমিকেরমতোই তিনিও রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকেন। যদিও মহারাষ্ট্রথেকেমধ্যপ্রদেশে তাদের গ্রামের পথ প্রায় ২০০ কিলোমিটার, তাতে কুন্ঠাবোধ না করেপেটেন’মাসেরসন্তান নিয়ে স্বামীর সঙ্গে হেঁটে ফেরাকেই বেছে নেন স্ত্রী শকুন্তলা দেবী। কিন্তুমহারাষ্ট্রেরসেনধাওয়া এলাকা পার হতে না হতেই প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। উপায় না পেয়ে হাইওয়েরধারেইসন্তান প্রসব করেন। এরপর ভেবে পাচ্ছিলেন না কি করে সদ্যজাতকে নিয়ে বাড়ি যাবেন। অবশেষে সেই সদ্যজাতকে নিয়ে হাঁটা ধরেন কয়েক ঘন্টা পর। প্রায় দেড়শ কিমি পেরিয়ে একচেকপোস্টেপৌঁছেপুলিশের সাহায্য চান তারা। কারন আর হাঁটতে পারছিলেন না। পিস অবশ্য তাদেরকে বাসের ব্যবস্থা করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। স্থানীয় স্বাস্থ্যআধিকারিক জানিয়েছেন, মাওসন্তানভালআছে।’ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
বাড়িতে পৌঁছে অবশ্য শকুন্তলা দেবী সদ্যজাতকে নিয়ে দেড়শ কিমি হাঁটার কথা ভুলতে পারছেন না।