করোনা সন্দেহে মারা যাওয়া বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী (৫০) এর মরদেহ সৎকার করতে আসেনি পরিবারের কেউ। হিন্দুরীতিতে বাবার শেষকৃত্যে মুখাগ্নি করার কথা ছেলের, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছেলেও আসেনি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চাপে বাধ্য হয়ে এসে কোনরকমে দুর থেকে আগুন দিয়েই ছুট। পরিবারের কাউকে এমনকি আপনজনেরাও আসেনি। নিরূপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই কয়েকজন সাংবাদিক নিয়ে মরদেহ সৎকার করেন। বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী ঢাকাতে একটি সিউিরিটি গার্ড কোম্পানীতে কাজ করতেন। করোনা উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৩-৪ দিন আগে গ্রামের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চোরখালি গ্রামে আসেন। গ্রামের বাড়িতে রাতে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে মৃতের নমুনা সংগ্রহের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হুদা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজল মল্লিকসহ কয়েকজন পুলিশ তার বাড়িতে যান।সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নমুনা সংগ্রহের পর সৎকার করতে বললে ভয়ে তার পরিবারের কেউ এগিয়ে আসেনি। এমন অবস্থায় স্থানীয় সাংবাদিক ও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে শেষকৃত্য পালন করেছেন ইউএনও।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct