বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) করোনায় মৃতদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা বা মাটিতে সমাধিস্থ করা যাবে বললেও তাদেরকে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এই অভিযোগ উঠেছিল মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে। পরে মুসলিমদের আপত্তিতে তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের দেশে হু যা বলেছে তা অমান্য করে মারা যাওয়া সব করোনা আক্রান্তকে পুড়িয়ে ফেলছে সে দেশের সরকার। এমনকি করোনা পজিটিভ না হলেও পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে লাশ। বাদ যাচ্ছে না মুসলিমরা। যদিও ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী, কোনো মুসলিম মারা গেলে তাকে স্নান করিয়ে বিশেষ নামাজ জানাজা পড়ার পর কবর দেওয়া হতে থাকে। তাই শ্রীলঙ্কা সরকারের এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সেখানকার মুসলিমরা।
অভিযোগ, করোনাভাইরাসে মারা না গেলেও সংখ্যালঘু মুসলিমদের কফিন পুড়িয়ে ফেলতে বাধ্য করছে শ্রীলঙ্কা। এই অভিযোগ এনে ন্যায়বিচারের দাবি করেছেন দেশটির স্বজনহারা মুসলিমরা। যদিও করোনায় মৃতদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা বা মাটিতে সমাধিস্থ করা যাবে বলে নির্দেশনা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)। জানা গেছে, বায়োলজিক্যাল ঝুঁকির অজুহাতে নতুন এই নির্দেশনার গেজেট গত ১১ প্রকাশ করে শ্রীলঙ্কা সরকার। ফলে মুসলিমদের লাশ পুড়িয়ে ফেলছে দেশটি। এতে ওই দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর জুবাইর ফাতিমা রিনোসার শোকগ্রস্ত পরিবার ন্যায়বিচার এবং ব্যাখ্যা দাবি করেছেন; ৪৪ বছর বয়সী এই নারীর শবদাহ সম্পন্ন হওয়ার দু´দিন পর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। রিনোসার চার সন্তানের একজন মুহাম্মদ সাজিদ বলেছেন, মুসলিমদের লাশ কবরস্থ না করে সব করোনা রোগীর লাশ পোড়ানোর বিষয়ে শ্রীলঙ্কার সরকারের বিতর্কিত বিধান অনুযায়ী তার মায়ের শবদাহ সম্পন্ন হয় গত ৫ মে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে এ পর্যন্ত সাতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তাদের মধ্যে তিনজন মুসলমানও রয়েছে। তবে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রচণ্ড বিরোধিতা সত্ত্বেও তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।