সাধারণত মানুষের মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলো একটি স্বাভাবিক অবস্থানে থাকে। ওই অবস্থান থেকে সরে যাওয়াই হচ্ছে স্পন্ডাইলোসিসথেসিস। এটি সাধারণত আমাদের লাম্বার স্পাইন বা কোমরে বেশি হয়। লাম্বার স্পাইনের ক্ষয়জনিত কারণে এ কশেরুকার স্থানচ্যূতি ঘটে। আঘাতজনিত কারণ, যেমন-ওপর থেকে পড়লে, পিছলা খেয়ে পড়লে, ভারী কিছু ওঠাতে গেলে ইত্যাদি। কারো কারো ক্ষেত্রে জন্মগত মেরুদণ্ডের ত্রুটি থেকে হতে পারে। তা ছাড়া বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল রোগ, যেমন, আর্থ্রাওপোরোসিস, ক্যানসার ইত্যাদি। এগুলির উপসর্গ, কোমর ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যথা কোমর থেকে পায়ের দিকে যায়। পায়ে ঝিন ঝিন বা অবশ অবশ মনে হয়। রোগী বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না।কিংবা বেশিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন না। বিছানায় শুয়ে থাকলে তেমন ব্যথা থাকে না। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকলে বা হাঁটা চলা করলে ব্যথা বৃদ্ধি পায়। পা দুর্বল হয়ে আসে, অনেক ক্ষেত্রে পায়ের মাংসপেশি শুকিয়ে আসে। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে প্রস্রাব ও পায়খানায় নিয়ন্ত্রণ থাকে না। চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ রোগটিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়- গ্রেড ও, গ্রেড ওও এবং গ্রেড ওওও প্রথম দুটি গ্রেডের ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি সম্পূর্ণ বিশ্রাম ও সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct