করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলছে টানা লকডাউন। আমাদের রাজ্যে ও চলছে লকডাউন।লকডাউনের প্রভাবে দোকান-বাজার, কাজ বন্ধ। মানুষের হাতে যে সঞ্চয় ছিল তা নিঃশেষ হতে বসেছে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা অর্থসংকটে পড়েছেন।কাজ না থাকায় চিন্তায় পড়েছেন আমতা,বাগনান, উলুবেড়িয়া, জয়পুর,ঝিখিড়া, উদয়নারায়নপুর সহ সমগ্ৰ হাওড়া জেলার ফটোগ্ৰাফাররা। সারা বছরের বেশির ভাগ সময় ফটোগ্ৰাফারদের কাজ হয় বিয়ে, অন্নপ্রাসন সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে। দীর্ঘ দেড় মাসের লক ডাউন চলছে তাও আবার বিবাহ মরসুমের সময়।সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ।বন্ধ অনুষ্ঠানে ফটো তোলার কাজ।
আমতা গাজীপুরের সুমিত ভট্টাচার্য,তাপস রীত,সজল গায়েন, মহাদেব মাজি, নওয়াপাড়ার অভিজিৎ রীত, আমতার কুনাল-রা বলেন,এখন অনেক মোবাইলের দোকানেই ফটো তোলা হয়, সেই কারণে আগের মতো আমাদের স্টুডি ওর দোকান গুলোতে মানুষ আর ফটো তুলতে আসে না।তাই আমাদের এখন সারাবছরই বিবাহ, অন্নপ্রাসন অন্যান্য নানান সামাজিক অনুষ্ঠানে ভি ভি ও গ্ৰাফীর উপর আমাদের জীবিকা নির্বাহ করে।তারা আরও বলেন,মাঘ, ফাল্গুন, বৈশাখ,জ্যৈষ্ঠ মাসের অপেক্ষায় থাকি, কারণ এই সময়গুলোতে বেশি বিয়ে বাড়ীতে ভিডিও গ্ৰাফীর কাজ হয়ে থাকে।এ বছর (২০২০) তে অনেক বিয়ে, অন্নপ্রাসনের ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য কাজের বরাত পেয়েছিলাম আমরা প্রত্যেকেই। এই কাজের জন্য কারো কারো কাছ থেকে অগ্ৰিম টাকাও নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লকডাউনের প্রভাবে অনুষ্ঠান গুলি বন্ধ হয়ে গেছে।অগ্ৰিম নেওয়া টাকাও খরচ হয়ে গেছে। অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা টাকা ফেরত নিচ্ছে। কোনো রকমে কষ্ট-সৃষ্টে তাদের সেই টাকা আস্তে আস্তে ফেরত দিতে হচ্ছে। আমরা চিন্তায় পড়ছি। একদিকে টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে, তার উপর সংসার চালানোর জন্য অর্থ কিভাবে পাবো তার উপায় খুঁজে পাচ্ছিনা।
এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হাওড়া জেলা ফটোগ্ৰাফার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে একটি আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরের অপেক্ষায় আছেন ফটোগ্ৰাফাররা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct