বিশ্বে এখন করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার নিয়েছে। কিন্তু ভারতে এই করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে হিন্দু মুসলিমের মধ্য ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিনগ করলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও বুকার জয়ী উপন্যাসিক অরুন্ধতী রায়। জার্মান মিডিয়া ডয়েচে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, করোনা ইস্যুতে মুসলিমদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার যে ধরনের আচরণ করছে তা এক গণহত্যার শামিল। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতির ফলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়বে। কেন্দ্রীয় সরকার নানা কৌশল ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে নিখুঁতভাবে এমন কিছু করতে যাচ্ছে যার প্রতি বিশ্বের নজর রাখা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি কোভিড-১৯ ভারতের এমন কিছু বিষয় ফুটিয়ে তুলেছে যা আমরা সবাই আগে থেকেই জানতাম। আমরা ভুগছি, তবে শুধু কোভিডে নয়, ঘৃণা এবং ক্ষুধা থেকে সৃষ্ট সংকটেও।
অরুন্ধতী রায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার এমন এক কৌশলের জন্য ভাইরাসটির অপব্যবহার করছে যা গণহত্যার সময় নাৎসিদের ব্যবহৃত কৌশলগুলোর একটির কথা মনে করিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ (আরএসএস) হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মাদারশিপ, যেটি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে , ভারতের হিন্দু রাষ্ট্র হওয়া উচিত। এটির ভাবাদর্শে এ দেশের মুসলমানদের সঙ্গে জার্মানির ইহুদিদের তুলনা করা হয়। তারা কীভাবে কোভিডকে ব্যবহার করছে আপনি যদি সেদিকে তাকান, তাহলে দেখবেন এটা অনেকটা ইহুদিদের যেভাবে আলাদা করতে, কলঙ্কিত করতে টাইফুসকে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেরকম।
তবে বিজেপির পক্ষ থেকে অরুন্ধতী রায়ের এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র নালিন কোহলি অরুন্ধতী রায়ের বক্তব্য ‘বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা এবং পুরোপুরি বর্ণবিদ্বেষী' বলে অভিহিত করেন।