করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছে তাদের সবাইকে দাহ করছে বৌদ্ধ ধর্মের দেশ শ্রীলঙ্কা। আমাদের দেশেও মহারাষ্ট্রের এক পুরসভা প্রথমে এ ধরনের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আপত্তি তোলে মুসলিমরা। তারা প্রতিবাদ জানিয়ে বলে, হিন্দুদের দাহ করলেও মুসলিমদের ইসলামী রীতি অনুযায়ী দাফন বা কবর দেওয়ার অনুমতি দিতে হবে। এর পর ওই পুরসভা অবশ্য যে যার ধর্মের রীতি মেনে করোনায় মৃতদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার অনুমতি দেয়। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে, করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর পর তাকে দাহ বা কবর দেওয়া যেতে পারে। এসব থেকে সংক্রমণের ভয় নেই।
তবে শ্রীলঙ্কা সেসব কথায় কান না দিয়ে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে করোনায় মৃত সব ধর্মের মানুষকে দাহ করার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মের মতো সিংহলিজ বৌদ্ধদের ঐতিহ্য হচ্ছে শব-দাহ করা। কিন্তু গত ১১ এপ্রিল থেকে ভাইরাসে মারা যাওয়া সব ধর্মের লোকদের শবদাহ বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। বিশ্বের এই একটি দেশেই কেবল এমন বিরল নীতি কার্যকর করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ক্রাইসিস গ্রুপের শ্রীলংকান পরিচালক অ্যালান কিনান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো দেশই লাশ দাফনে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। অথচ দেশটির মুসলমানদের ওপর জোর করে তাদের ধর্মীয় রীতির বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
জানা গেছে, দাফনে নিষেধাজ্ঞার পর এখন পর্যন্ত তিনজন মুসলমানের মরদেহ দাহ করা হয়েছে। এতে তাদের পরিবারগুলো মারাত্মক হতাশায় ডুবে গেছে। বাত্তিকালোয়া শহরের কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে ফায়াজ ইউনুস বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর তাকে দাহ করা হয়েছে।