করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সৌদি সরকার আগেই সে দেশের সব মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এবার অনেকেই তাকিয়ে ছিলেন মুসলিমদের উপবাসের মাস পবিত্র রমজানে কি নির্দেশ দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। তার উপর রমজান মাস শেষে ঈদুল ফিতর। ঈদে জমায়েত হয়। তাই সৌদি আরবের দিকে তাকিয়ে থাকে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির মুসলিমরা। মুসলিমরা সাধারণত সৌদি আরবকে মেনে চলে। তাই, সৌদি সরকার রমজানে বিশেষ নামাজ তারাবিহ ও মাস শেষে ঈদুল ফিতর নামাজ নিয়ে কি নির্দেশ আসে সৌদি সরকার থেকে তার অপেক্ষায় ছিল মানুষ। অবশেষে, সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শাইখ আবদুল আজিজ আল আল-শাইখ শুক্রবার জানিয়ে দিলেন, করোনা ভাইরাসের এই মহামারি চলতে থাকলে আসন্ন রমজানের সব ধরনের ইবাদত ও ঈদুল ফিতরের নামাজ বাড়িতেই পড়া উচিত। এই খবর সুফি আরবের সংবাদপত্রগুলো ফলাও করে ছেপেছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল-শেখ জানান, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকলে আসন্ন রমজানে মসজিদে তারাবিহ নামাজের জামাত হবে না। এরপর শুক্রবার ওকাজ জানিয়েছে, সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি শাইখ আবদুল আজিজ আল আল-শাইখ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে নেওয়া পদক্ষেপের কারণে তারাবিহের নামাজ মসজিদে পড়া সম্ভব না হলে তা বাড়িতেই যাবে।’ ইফতার এবং ঈদের জামাতের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে বলে জানান তিনি।
ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে পবিত্র মাস রমজান ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই মাসে সন্ধ্যায় নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে তারাবিহের নামাজ পড়ে থাকে মুসলমানেরা। তারাবিহ ও ঈদের নামাজ বাড়িতে পড়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কারও মৃত্যু হলে জানাজার নামাজেও বেশি মানুষের সমাগম না করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল-শেখ বলেন, জমায়েত নিষিদ্ধের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সেকারণে জানাজার নামাজ কবরস্থানে অনুষ্ঠিত হবে আর মৃতের পরিবারের ছয় জনের বেশি এতে অংশ নিতে পারবেন না। আর বাকিরা নিজ নিজ বাড়িতে জানাজা পড়ে নেবে।