করোনা ঠেকাতে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।আর এর ফলে চাপের মুখে পড়েছে দেশের যোগান শৃঙ্খল। বন্ধ রয়েছে বাজার, পরিবহণ ব্যবস্থাও থেমে আছে। এরইমধ্যে অনেকেই মনে করছেন, হয়ত লকডাউনের প্রকোপে খাদ্য সংকটের মুখে পড়তে চলেছে দেশ। ভারতে এখন এক রাজ্যের পণ্য অন্য রাজ্যে পাঠানো বন্ধ রয়েছে। তবে এখনো রাজ্যগুলোতে খাদ্যপণ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে। আসছে রবি শস্যও। সমস্যা হলো এই খাদ্য সবার কাছে পৌঁছানো নিয়ে। যোগান শৃঙ্খল ভেঙ্গে পড়ায় মানুষ কৃত্রিম খাদ্য সংকটে পড়তে যাচ্ছে। লকডাউনের কারণে জমিতে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কৃষি শ্রমিকরা নিজ রাজ্যে ফিরে যাচ্ছে। ফলে ফসল তোলাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফসল কাটার পরে তা প্রস্তুত করতে হবে, বাজারে নিয়ে যেতে হবে। এসবের জন্য ফের শ্রমিক প্রয়োজন হবে, প্রয়োজন হবে গাড়িচালক ও নিরবচ্ছিন্ন চলাচল। খাদ্যশস্যের লভ্যতা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। লকডাউনের পূর্বে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কাছে ৭৭.৬ মিলিয়ন টন গম ও চাল রয়েছে বলে জানিয়েছিল। ১৯ মার্চের হিসেবে মজুত খাদ্যবীজ ছিল ২.২৫ মিলিয়ন টন। তবে সমস্যা হলো, উৎপাদিত পণ্য ও তার ক্রেতারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আলাদা রাজ্যের হন। বিহার জানিয়েছে, আমরা চাল পাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে, ডাল পাই মধ্যপ্রদেশ থেকে এবং সরষের তেল পাই রাজস্থান থেকে। কিন্তু লকডাউনের ফলে এই সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।রাজ্যের সীমানা যেহেতু বন্ধ, সে কারণে পরিবহণ আর মসৃণ নেই দেশে। ভারতের কৃষি উৎপাদনের পরিবহণ নিয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তঃরাজ্য ট্রাক চলাচলের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার জেরে রাজ্যের সীমান্তে সীমান্তে দাঁড়িয়ে পড়ছে পণ্য বোঝাই ট্রাক। এক রাজ্যের টমেটো, আরেক রাজ্যের বেগুন গাড়িতেই নষ্ট হচ্ছে। ফলে দ্রুতই এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যাতে কৃষি পণ্য চাষির ঘরে পচে যাচ্ছে আর অন্যদিকে বাজারে জোগানের সংকট তৈরি হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct