২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম ধরা পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এরপর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। অনেকের প্রশ্ন, বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করা কোভিড-১৯ কি সত্যিই প্রকৃতি থেকে সৃষ্টি, নাকি এটাকে চীনের ল্যাবে তৈরি করা হয়েছে? আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইরান দাবি করেছে, করোনা কোন ভাইরাস নয়। এটা চীনের উহানের ল্যাবে তৈরি মারাত্মক জৈব রাসায়নিক বোমা। তবে চীন জোর গলায় এটাকে 'ষড়যন্ত্র তত্ব' আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে এবার নতুন প্রমাণ সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে চীনের উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। এটাকে এখন আর অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। 'দ্য ব্লিজ' এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক কালে প্রকাশ্যে আসা বেশ কয়েকটি নতুন প্রমাণ এই ইঙ্গিত দেয় যে ভাইরাসটি চীনের উহান শহরে একটি ভাইরোলজি ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছিল। এ বিষয়ে ন্যাশনাল রিভিউয়ের সিনিয়র সংবাদদাতা জিম জেরাঘাটির লেখা একটি দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। করোনা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণের জন্য তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং ইউটিউবার ম্যাথু টাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ দিন চীনে অবস্থান করেছেন। বিশদভাবে তদন্ত করেছেন। সাম্প্রতি তিনি ইউটিউবে বেশকিছু ভিডিও আপলোড করেছেন, সেখানে ভাইরাসটির উৎস সনাক্ত করতে পেরেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। জেরাঘটি নিশ্চিতভাবে লক্ষ্য করেছেন যে, ভাইরাসটির উৎপত্তি সম্পর্কে এই ভিডিওগুলো দেখলে সহজেই বোধগম্য হবে। যে কেউ বুঝতে পারবেন ভাইরাসটির উৎপত্তি কোথায়। এখানে ভাইরাসটির উৎপত্তি সম্পর্কে প্রচুর তথ্য রয়েছে। মানুষ যাতে সহজেই বিষয়টা উপলব্ধি করতে পারে এ জন্য তিনি ভিডিওটি ইন্টারনেটে আপলোড করেছেন।
যার ফলে বহু রোগীর মধ্যে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না করোনা ভাইরাসের থাবায় এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ২০৫টি দেশ ও অঞ্চল। এসব দেশে সংক্রমিত হয়েছে প্রায় ১১ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৬০ হাজারের।
ছোঁয়াচে করোনা ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে সব বয়সী মানুষই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আবার অনেকে আক্রান্ত হলেও কোনও লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। এ বিষয়ে চীনের গবেষকরা বলছেন, 'জিনগত কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই অনেকের ক্ষেত্রে তা প্রকাশ পাচ্ছে। আবার সবল জিনের কারণে আক্রান্ত হলেও করোনা ভাইরাসকে শক্ত অবস্থান নিতে দিচ্ছে না কিছু মানুষের ইমিউন সিস্টেম। রক্তের গ্রুপের কারণেও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তবে কী ধরনের জিনগত বৈশিষ্ট্য থাকলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে এবং কোন ধরনের জিনে এটার হার কম, তা এখনো স্পষ্টভাবে জানাননি গবেষকরা।
আমেরিকার রকফেলর ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, 'জেনেটিক পার্থক্যগুলোর কারণে করোনা আক্রান্ত হলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়া কিংবা লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বলা চলে করোনার ক্ষেত্রে বংশগত ব্যাপার মূল বিষয় হতে পারে। যাদের বংশীয়ভাবে তীব্র নিউমোনিয়ার সংবেদনশীলতা আছে, তাদের শরীরে দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে পারে করোনা ভাইরাস।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct