বিশ্ব জুরে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ ও সৎ ব্যক্তিদের জন্যও এটা লোভনীয় পেশা হয়ে উঠেছে বলে এক প্রথম সারির দীনিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কয়েক বছর ধরেই ব্যাপকভাবে হ্যাকারদের প্রভাব পড়ছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সাধারণত কম্পিউটারে দক্ষ তরুণরাই সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে একত্রিত হয়ে কোম্পানির সিস্টেমে আক্রমণ চালাই, ও গ্রাহকদের গোপনীয় তথ্যভাণ্ডারে হানা দিয়ে অনেক গোপন তথ্য চুরি করে।
এখন পুরস্কার চালু করে করপোরেশনগুলো ওই সব মেধাবী তরুণদের কাজে লাগাচ্ছে সিস্টেমের ‘বাগ’ বা খুঁত শনাক্তের জন্য। ফেইসবুক, টুইটার, অ্যাপল, ইয়াহুর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বিশাল অংকের অর্থ দিয়ে এই হ্যাকারদের নিয়োগ করছে ।
এভাবে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে লাখ লাখ ডলার আয় করছেন হাজার হাজার ‘ইথিকাল হ্যাকার’। মাত্র কয়েক ঘণ্টার কাজেই ৫০ থেকে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত আয় করছেন তারা।
এদের মাধেই একজন হছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলছাত্র ইবরাম মাসউক। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ইয়াহু ও গুগলের নিরাপত্তা দুর্বলতা ধরিয়ে দেওয়া ১৫ বছরের এই কিশোর নিজের উপার্জন দিয়ে পরিবার এর জন্নে বাড়ি কিনেছেন।
লেবাননে বেড়ে ওঠা মাসউকের হ্যাকিং নিয়ে তৎপরতা শুরু ১৩ বছর বয়সে। কয়েক মাসের মধ্যেই একটি প্রতিষ্ঠানের সাইবার দুর্বলতা ধরে ফেলেন তিনি। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের খুঁত ধরিয়ে দেওয়ার মতো কাজ করে খুব খুশি হন মাউসক। কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের নিরাপত্তায় সহযোগিতা করতে পারছেন-এটাই তার ভালো লাগা।
অন্য দশজন কিশোর থেকে আলাদা নন মাসউক। বাবা-মা ও দুই বোনের সঙ্গে থাকেন তিনি।
এসবের মধ্যেই ইয়াহু ও গুগলসহ ৬০টিরও বেশি কোম্পানির সিস্টেম হ্যাক করেছেন মাসউক; এই খাতে অন্যতম ‘বাগ ফাইন্ডার’ হিসেবেও পরিচিতি তৈরি হয়েছে তার।
মাসউক বলেন, “আমি এই কাজ করি তা আমার পরিবার ও কাছের বন্ধুরা ছাড়া আর কেউ জানে না।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct