বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন দেশে মাস্ক ব্যবহার বহুগুণে বেড়েছে। আবার অনেক দেশে এই মাস্কের ব্যবহার কম। প্রশ্ন উঠছে, এই মাস্ক কি করোনার বিস্তার ঠেকাতে পারে? কিংবা এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক কতটা কার্যকর? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্যরা। বায়ুবাহিত ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই মাস্ক কতটা কার্যকর, সে ব্যাপারে যথেষ্টই সংশয়ে আছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। তবে হাত থেকে মুখে সংক্রমণ ঠেকাতে এই মাস্ক ব্যবহার করে সুফল পাওয়ার কিছু নজির আছে বলে তারা মনে করেন। বর্তমানে ডব্লিউএইচওর পরামর্শ হলো সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মানুষের মধ্যে কমপক্ষে এক মিটার দূরত্বে থাকতে হবে। যারা অসুস্থ এবং যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাদের মাস্ক পরতে হবে। যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দেখাশোনা করছেন তাদের পরতে হবে। এর বাইরে কারো জন্য মাস্ক পরার খুব বেশি প্রয়োজন নেই। জানা গিয়েছে,
অতীতে যেমনটা ভাবা হয়েছিল সেটা ঠিক কি না, সে বিষয়টি মূল্যায়ন করবে ডব্লিউএইচওর এই উপদেষ্টা প্যানেল। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, মানুষের কাশি ছয় মিটার এবং হাঁচি আট মিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারে। এই নতুন গবেষণার ফলে মাস্ক ব্যবহারের ব্যাপারে অতীতের পরামর্শে পরিবর্তন আসতে পারে। ডব্লিউএইচওর সাবেক পরিচালক ব্যাখ্যা করে বলেন, সবাইকে মাস্ক পরতে বলা উচিত কি না, সে বিষয়ে নতুন তথ্য-প্রমাণ নিয়ে আলোচনা হবে। যদিও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা মানে কমপক্ষে দুই মিটার দূরত্বের কথা বলছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct