সময়টা ২০০৮ সাল। তখন সবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। যুবদলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির নাম তখন সবার মুখে।এই কোহলিই যে ভবিষ্যতে ভারতীয় ক্রিকেটের বড় তারকা হতে চলেছেন, তার ইঙ্গিত তত দিনে মিলে গিয়েছে। সেই সময় সদ্য উনিশ পেরোনো এই ব্যাটসম্যানকে খুব মনে ধরেছিল ভারতীয় ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক দিলীপ ভেঙসরকারের।ওই তরুণের ব্যাটিং খুব পছন্দ হয়েছিল তাঁর। তাই কোহলিকে ভারতের সিনিয়র দলে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। পুরানো দিনের সেই কথা এদিন এক সাক্ষাৎকারে ভেঙসরকার বলেন, 'অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা দলের ছেলেদের নিয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ দল গঠন করেছিলাম। কোহলি তখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ছিল। তাই সে দলে তাঁকে রাখা হয়। ওর টেকনিক তখন থেকেই দারুণ ছিল। আমার মনে হলো, ওর এখনই জাতীয় দলে খেলা উচিত। আমাদের সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ ছিল, মনে হলো এটাই আদর্শ সময়। অন্যান্য নির্বাচকরাও রাজি হলেন।’কিন্তু ভেঙসরকারের ইচ্ছার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অধিনায়ক ধোনি। কোহলির ব্যাটিং দেখে তবেই তিনি তাঁকে দলে চাইবেন—এমন কথাই বলেছিলেন। কোচ গ্যারি কারস্টেনও পক্ষ নেন ধোনির। কিন্তু ভেঙসরকার নিজের ইচ্ছায় অটল রইলেন। বলেছিলেন, ‘আমি ওর ব্যাটিং দেখেছি। ওকে এখনই দলে নেব আমি।' ভেঙসরকারের সঙ্গে পেরে ওঠেননি ধোনি। শ্রীলঙ্কা সফরেই ভারতীয় দলে ডাক পান কোহলি। সে সিরিজেই পান প্রথম ওয়ানডে ফিফটির দেখা। বাকিটা তো ইতিহাসই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct