আবহাওয়ার তারতম্যের ফলে জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশি হতে পারে। তবে বর্তমানে করোনাভাইরাস নিয়ে পুরো বিশ্ব যখন উদ্বিগ্ন তখন বাড়তি সতর্কতা নিশ্চয়ই প্রয়োজন। তাই বলে জ্বর হলে প্রথমেই করোনা আতঙ্কে না থেকে নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি পরামর্শগুলো মেনে চলুন। জ্বর হলে চিকিৎসকরা বলেন, ' স্যুপ, হারবাল চা, কফি, মধু দিয়ে গরম জল বারবার পান করতে।শরীরের অতিরিক্ত তাপ হলেই আমরা জ্বর বলি। সিজনাল জ্বর হলেও থার্মোমিটার দিয়ে নিয়মিত জ্বর মেপে একটি ছক করে লিখে রাখুন।হালকা গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে বারবার শরীর মুছে নিন। এতে জ্বরের তাপ কমবে।ঠাণ্ডা সর্দিতে আমাদের নাক চুলকায়, নাক দিয়ে জল পড়ে, টিস্যু দিয়ে বারবার নাক মোছার ফলে অনেক সময় নাকের চামড়া ছিলে যায়। এজন্য নাক বেশি ঘষা যাবে না। নাকে ক্রিম ব্যবহার করুন।ভিটামিন সি জাতীয় ফল লেবু, কমলা, পেঁপে, পেঁয়ারা, আমলকি বেশি বেশি খান। ঠাণ্ডা কমবে আর খাবার খেতেও রুচি হবে।অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে হাত সব সময় পরিষ্কার করতে হবে।দাঁত মাজার ব্রাশ, চিরুনি, তোয়ালে এগুলো আলাদা রাখতে হবে । কাশি ও হাচিঁ দেওয়া সময় রুমাল ব্যবহার করুন।হাত দিয়ে ঘন ঘন নাক অথবা চোখ চুলকানো যাবে না।নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে হবে।পরিবারের কেউ ঠাণ্ডা জ্বরে আক্রান্ত হলে অন্যদের সাবধানে রাখুন। ভাইরাল ফিভারের সময় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা না করাই ভালো। আর বৃদ্ধদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাদের জন্য নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। উপসর্গগুলো দ্রুত সমাধান না হলে যত শীঘ্রই সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct