শর্ট সার্কিট, অগ্নিকাণ্ড, চোর-ডাকাত এছাড়া নানান বিপদ থেকে ঘর-বাড়িকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করি আমরা। তবে এই গুলো থেকেই যে দুর্ঘটনা ঘটে তা নয়। আরও একটা বিষয় আছে যেটা নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। আর সেটা হলো রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার। গ্যাস সিলিন্ডার থেকে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে।
গ্যাস সিলিন্ডার থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে কয়েকটি বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। যেমন গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে কোথাও ফুটো বা ফাটা আছে কি না। বন্ধ করার সময় দেখতে হবে, সিলিন্ডারের নল ঠিক ঠাক বন্ধ হয়েছে কি না।
জেনে নেওয়া যাক গ্যাস সিলিন্ডার থেকে কোনো রকম দুর্ঘটনা বা বিস্ফোরণ এড়াতে আমাদের কী কী করনীয়......
১. রান্নাঘর থেকে বেরনোর আগে গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ করার সময় দেখে নিন গ্যাসের পাইপটি যেন কোনভাবেই গ্যাস ওভেনের উতপ্ত বার্নারের গায়ে লেগে না থাকে।
২. গ্যাস জ্বালানোর পর লাইটার বা দেশলাই অনেকেই সেটি সিলিন্ডারের উপরেই রেখে দেন। মনে রাখবেন, সিলিন্ডার গরম হতে পারে তাই এমন কোনও কাজ করবেন না। গ্যাস ওভেন, সিলিন্ডার বা গ্যাসের পাইপ যেন খুব কাছাকাছি এসে না পড়ে। এ গুলির মধ্যে সব সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
৩. পাইপ নষ্ট হবে না, পাইপে ধুলো পরবে না, এককথায় পাইপ পরিষ্কার রাখতে অনেকেই গ্যাসের পাইপের গায়ে কোনো মোটা কাপর বা প্লাস্টিক জড়িয়ে রাখেন। কখনই এই রকম করবেন না। কারণ পাইপ কোনো মোটা বস্তু দিয়ে জড়ানো থাকলে গ্যাস লিক করলে তা বুঝে উঠতে পারবেন না।
৪. বছরের পর বছর ধরে একটা পাইপ ব্যবহার করবেন না। প্রতি ২ থেকে ৩ বছর পর গ্যাসের পাইপ পরিবর্তন করবেন।
৫. রান্নাঘরে ঢুকে যদি গ্যাসের গন্ধ পান, তাহলে তখন রান্নাঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসুন। সেই অবস্থায় কোনও সুইচ বোর্ড বা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চালু করবেন না। কোন প্রকার অগ্নিসংযোগ করবেন না। মনে রাখবেন, রান্নার গ্যাস বাতাসের থেকে ভারি। ফলে গ্যাস লিক করলেও তা নিচে ঘোরাফেরা করে। তাই প্রথম পর্যায়ে কাপড় বা তোয়ালে বা হাতপাখার সাহায্যে হাওয়া দিয়ে গ্যাস রান্নাঘরের বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝলে বা গ্যাসের গন্ধে সারা বাড়ি ছড়িয়ে পড়লে দেরি না করে আপনার গ্যাস পরিষেবা প্রদান কারি সংস্থার হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct