প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২১দিন লকডাউন ঘোষণা করেছেন। তাই বেশীজনের জমায়েত নিষিদ্ধ। এই নির্দেশ মেনে চলার আহবান জানিয়েসহন সব ধর্মের মানুষদের। এ জন্য বহু মন্দির কর্তৃপক্ষ সেখানে ভক্তদের সমাবেশ বাঁধ করেছেন। আবার মুসলিমদের মসজিদের নামাজের ব্যাপারে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জেন ও গুটিকায়েকজন মিলে নামাজ পড়ুন। বাকিরা বাড়িতে নামাজ পড়ুন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় শুক্রবারের জুম্মার নামাজে। জুম্মার নামাজ বাড়িতে পড়া যায় না। যে ব্যাপারে মুসলিম আলেমরা বলছেন, জুম্মার নামাজ কেবল মসজিদে জামাতে সম্ভব। বাড়িতে হলে সেটা জোহর নামাজ পড়তে হবে। কিন্তু দেওবন্দের দারুল উলুম থেকে বলা হয়েছে পরিস্থিতি অনুযায়ী দেখতে হবে যাতে সরকারি নির্দেশ লংঘন না হয়। সে হবে অল্প কয়েকজন মিলে নামাজ পড়া ভাল যাতে সরকারি নিয়ম না ভাঙে। কিন্তু কর্ণাটকের বেলগাঁওয়ে একটি মসজিদের জুম্মার নামাজ মানুষ ভিড় জমালে পুলিশের তা নজরে আসে। এরপর যখন নামাজিরা নামাজ পড়ে বাইরে বের হতে থাকে তখন পুলিশ ব্যাপক লাঠি চালায় মুসল্লিদের উপর। যদিও মসজিদের লোকজন বলছেন তারা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই নামাজ পড়েছেন এবং আস্তে আস্তে বের হয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে মসজিদে নামাজ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও কেন এত জমায়েত? তাই কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের পুলিশ লাঠিচার্জ করে বুঝিয়ে দিল তারা মসজিদে জমায়েত কোনো ভাবে মানবে না। তবে কেরল সহ অনেক রাজ্যে পুলিশের উল্টো ভূমিকা দেখা গেছে। তারা মসজিদের সামনে আগেই হাজির হয়ে সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন। নিরাপদ দূরত্ব রাখা হচ্ছে কিনা দেখছেন। আর বলছেন বাড়িতে নামাজ পড়লেই ভালো। এতে কাজ হয়েছে। লোকে মসজিদ এড়িয়ে বাড়িতে নামাজ পড়ছেন। কিন্তু কর্ণাটকের পুলিশ লাঠি চালানোয় সমালোচনা হচ্ছে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct