করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি চিনের ইউহান প্রদেশ থেকে পাওয়ার পর চিনে মৃত্যু মিছিল চলছে। এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ তারপর বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ইউরোপের এক দেশ ইতালিতে। সেখানে কারণে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এবার চিনকেও ছাড়িয়ে গেল। যে পর্যন্ত চিন সরকারের স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৩,২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে কারণে ভাইরাসে। কিন্তু ইতালি সরকার জানিয়েছে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩,৪০৫। অর্থাৎ ইতালি ছাপিয়ে গেল ইতালিকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সতর্কতা না নিলে কারণে ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা আগের কোনো মহামারীকে ছাড়িয়ে যাবে। এদিকে ব্রিটেনের গবেষকরা বলছেন, সতর্কতার মাত্রা না বাড়ালে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২২ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে আমেরিকায় এবং এই সংখ্যাটা ব্রিটেনের ক্ষেত্রে ৫ লাখ। আর, ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের মোকাবিলায় আমেরিকায় প্রবেশে ইউরোপীয়দের উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এবার ওই পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করেই করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে বরিস জনসন সরকারও।
উল্লেখ্য, ১৯১৮ সালে বিশ্ব জুড়ে ফ্লু-এর কারণে যে মহামারী হয়েছিল, তাতে বিশ্বে ৫ কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কেবলমাত্র ব্রিটেনেই তাতে মৃত্যু হয়েছিল ২ লাখ ২৮ হাজার মানুষের। গবেষকদের দাবি, এখনই সতর্ক না হলে মৃত্যুর হারে সে সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যাবে ব্রিটেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct