শেষ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এদিন রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তাঁর শপথ গ্রহণের সময় কংগ্রেসের সদস্যরা ‘শেম শেম' বলে স্লোগান দিতে থাকেন। বিচারপতি হিসেবে অবসর নেওয়ার পর রঞ্জন গগৈয়ের রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার বিষয়টিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক আঘাত বলে মনে করছেন সমালোচকেরা। রঞ্জন গগৈ সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি, যিনি অবসরের পর রাজ্যসভার সদস্য হলেন।
রঞ্জন গগৈ অবসর নেওয়ার আট মাস আগে বলেছিলেন, অবসর নেওয়ার পর সরকারি পদে নিয়োগ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার গায়ে ক্ষত। অথচ অবসর নেওয়ার মাত্র চার মাসের মাথায় তিনি রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় পা রেখে নিজের কথার খেলাপ করলেন। যদিও এর সাফাইয়ে তিনি আরও বলেন, ' রাজ্যসভায় আমার উপস্থিতি আইনসভার সামনে বিচার বিভাগের দৃষ্টিভঙ্গি, আর বিচার বিভাগের সামনে আইনসভার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের সুযোগ করে দেব।' যদিও রঞ্জন গগৈয়ের নিয়োগকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর ওপর মারাত্মক, অভূতপূর্ব ও ক্ষমাহীন আঘাত হিসেবে অভিহিত করেছে কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টের বেশকিছু প্রাক্তন বিচারপতিও এই নিয়োগের কড়া সমালোচনা করেছেন। এর আগে নানা কারণে রঞ্জন গগৈ আলোচিত-সমালোচিত। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে যে চারজন বিচারপতি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন, রঞ্জন গগৈ এর অন্যতম। তার পরে রঞ্জন গগৈ প্রধান বিচারপতি হন। ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের অফিসের এক মহিলা কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগ আনেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ অভিযোগ তদন্ত করেন। বেকসুর খালাস হন তিনি। অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে টানা শুনানির নির্দেশ রঞ্জন গগৈয়ের দেওয়া। বহু বছরের বিবাদের মীমাংসা তিনিই করেছিলেন মন্দিরের পক্ষে রায় দিয়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct