বৃহস্পতিবার রাত আটটায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা ভাইরাস নিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য রেখেছেন। তার এই বক্তব্যের মধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। কিংবা করোনা ভাইরাসে মারা গেলে তার ক্ষতিপূরণের কথাও মুখে আনেননি। প্রধানমন্ত্রী শুধু করোনা ভাইরাস রুখতে কিছু সাবধান বাণী উচ্চারণ করেছেন। সেই সাবধান বাণী হিসেবে মোদি জনতা কারফিউ জারির কথা বলেছেন।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে দেশজুড়ে এই জনতা কারফিউ জারি করার কথা বলেছেন রোববার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। কারফিউ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, রোববার সকাল-সন্ধ্যা জনতা কারফিউ পালন করুন। এদিন কেউ সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হবেন না। আর এই বার্তা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিন। সেইসঙ্গে মোদির সতর্ক বাণী জনতা কারফিউর দিনে কেউ বাড়ি থেকে বের হবেন না অথবা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন না। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাজে বের হন। বিশেষ করে ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের ঘর থেকে না বেরনোর আহবান জানান তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেননি কেউ যদি এই জনতা কারফিউ না মানেন তার শাস্তি হবে কিনা। প্রধানমন্ত্রীর কথা মানুষ আইন বলে ধরে থাকেন। তাই সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে মোদির কথা না মানলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে কিনা। যদিও এ নিয়ে মোদি কিছুই বলেনি। মানুষ মোদির নির্দেশ অমান্য করার পর করোনা প্রকোপ বেড়ে গেলে জনগণের ওপর দোষারোপ করা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন। যেভাবে উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভ কারীদের চিহ্নিত করে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হচ্ছে এক্ষেত্রে যারা বাইরে বের হবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তো জাতীয় সুরক্ষা আইনে, সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct