মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সপরিবারে ভারত সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ আমন্ত্রণে। সেই সফরে রাজকীয়ভাবে সংবর্ধনা ও আপ্যায়ন করা হয় ট্রাম্পকে। কিন্তু তাকে অপ্রস্তুতে পড়তে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর কালেই দিল্লিতে ভয়াবহ সহিংসতা সংঘটিত হচ্ছিল। তা। নিয়ে ট্রাম্প কোনো মন্তব্য করেন নি। আর এই দাঙ্গায় শাসক দল বিজেপির দিকেই আঙুল উঠেছে। এর ফলে ট্রাম্পের নিশ্চুপ হয়ে থাকা নিয়ে খোদ মার্কিন মিডিয়াগুলো সরব হয়েছে। তাদের মতে ট্রাম্প মুখ খুললে মোদি চেষ্টা করতেন যে কোনোভাবে দাঙ্গা থামাতে। তাহলে লোকের প্রাণ যেত না।বরং এই বার্তা গেছে মোডি সরকারের মুসলিম বিরোধী মনোভাবকে সমর্থন করেছেন ট্রাম্প। তাই সেটা বিরাট ভুল বলে মার্কিন মিডিয়া সিএনএন, রয়টার্স প্রভৃতি। তাদের মতে
রাজধানী দিল্লিতে শাসক বিজেপির ইন্ধনে মুসলমানদের উপরে চারদিন ধরে চলা সহিংসতার ঘটনায় ভারতে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ আরও গভীর হয়েছে। অথচ সেই ঘটনার কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার’ জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন। তাতে মনে হয়েছে, ভারতের এই ভূমিকায় পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে আমেরিকার।
উল্লেখ্য, দিল্লি দাঙ্গার সময় এলাকায় যখন মৃত্যুর পাহাড় জমছে তখন মোদির সাথে বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানান, ‘আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেছি এবং আমি বলব যে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে ভাল কাজ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘মোদি ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চান। তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, তার সরকার ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে।’ বাস্তবে, ভারতে এই ধর্মীয় স্বাধীনতা বিশেষত মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট হুমকির মধ্যে রয়েছে। বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখানোয় হিন্দুত্ববাদিরা ভালচোখে নেয়নি। তার প্রতিক্রিয়ায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হয়। তারই সি এন এন সতর্ক করে বলেছে, মোদির পক্ষ নিলে ট্রাম্পের বিপদ। এর প্রভাব পড়তে পারে আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct