মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়েছেন। পাশাপাশি ঝুলিতে রয়েছে সেরা প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন ফুটবলারের পুরস্কার। ফুটবলদুনিয়া এখন কিলিয়ান এমবাপের প্রশংসায় ব্যস্ত। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে তার অনবদ্য গোল এখনো অনুরাগীদের স্মৃতিপটে অক্ষয় হয়ে রয়েছে।
কিন্তু অনেকেই জানেন না যে সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনালে কোমরের চোট নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন ফরাসি তারকা। ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমবাপে জানিয়েছেন, ‘কোয়ার্টার-ফাইনালে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচেই কোমরে চোট পাই। পরের দিন ব্যথা বাড়ে। কোচ ও দলের চিকিৎসকরা তা জানতেন। কিন্তু কেউই সংবাদমাধ্যমের কাছে এই বিষয় নিয়ে মুখ খোলেননি। এর ফলে প্রতিপক্ষরা আমার চোট সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি। এতে আমার সুবিধা হয়েছে। কারণ, সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনালের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে বেলজিয়াম এবং ক্রোয়েশিয়া যদি জানত যে আমার কোমরে চোট রয়েছে তাহলে তারা ওই জায়গাতেই মারার চেষ্টা করত।’
বিশ্বকাপের সুখস্মৃতি নিয়ে এমবাপের মন্তব্য, ‘নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই আমরা এই প্রতিযোগিতায় এগিয়েছি। ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবতেন কোচ দিদিয়ের দেশঁ। আমাদের চাপমুক্ত রাখাই ছিল তার প্রধান কাজ। অনুশীলনে প্রতিদিন সেট পিস মুভমেন্টের উপর বাড়তি নজর রাখতেন কোচ। এর ফল হাতেনাতে পেয়েছি। উরুগুয়ে ও বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে সেট পিস থেকে গোল তুলে নিয়েছে ফ্রান্স। রাফায়েল ভারানে-স্যামুয়েল উমতিতিদের কীভাবে নিঃশব্দে উঠে গিয়ে সেট পিস থেকে গোল করতে হবে তা কোচ হাতে-কলমে দেখিয়ে দিয়েছেন। দুরন্ত দলগত সংহতিতেই বিশ্বকাপ জিতেছি। লিও মেসির আর্জেন্টিনাকে হারানোর পরেই আমাদের প্রত্যেকের আত্মবিশ্বাস এক লাফে অনেকটা বেড়ে যায়। তবে কখনোই তা আত্মতুষ্টিতে পরিণত হয়নি। কোয়ার্টার-ফাইনাল ও সেমি-ফাইনালে আমাদের ডিফেন্ডাররা দুর্ভেদ্য ছিল। রক্ষণ, মাঝমাঠ এবং আক্রমণ-তিনটি বিভাগের চমৎকার বোঝাপড়াই ফ্রান্সকে বিপক্ষের চ্যালেঞ্জ সহজে টপকাতে সাহায্য করেছে। বিশ্বকাপের আগে অনেকেই আমাদের স্কোয়াড দেখে অনভিজ্ঞ আখ্যা দিয়েছিলেন। এখন তাঁদের মুখগুলি দেখতে ইচ্ছা করছে।’
আসন্ন মরশুমে প্যারি সাঁজাঁ’র জার্সিতেও দুরন্ত ফর্ম ধরে রাখতে মরিয়া কিলিয়ান এমবাপে। এই প্রসঙ্গে তার বিশ্লেষণ, ‘মোনাকোর জার্সি গায়ে চাপিয়েই আমি খ্যাতি পেয়েছি। পরে পিএসজি’তে এসে শিখেছি অনেককিছুই। তবে শেখার তো শেষ নেই। নেইমার-এডিনসন কাভানিদের পাশে খেলে নিজেকে আরো পরিণত করে তোলাই আমার লক্ষ্য। এবার জুভেন্তাস ছেড়ে কিংবদন্তি গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি বুফোঁ এসেছেন প্যারিসে। তার থেকেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে ভুলব না।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct