সুরেলা গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন রানাঘাটের স্টেশনের ভবঘুরে রানু মণ্ডল। আর তাতেই তিনি রাতারাতি পৌঁছে যান লাইমলাইটের কেন্দ্রবিন্দুতে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে লতার গান গেয়ে স্টার হয়ে যান। এরপর রানু পাড়ি দেন বলিউডেও। গান করেন হিমেশ রেশমিয়ার ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবিতে। প্রতিটি গান সুপার-ডুপার হিট। আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি রানুকে। পূজোর থিম সং, দেশে-বিদেশে শো, তারকাদের সঙ্গে ওঠা বসা চলতে থাকে রানুর জয়যাত্রা। কিন্তু অভিযোগ, রাতারাতি স্টার হয়ে গিয়ে নাকি বদলে গিয়েছেন রানু। তার নাকি অহংকার বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে স্বভাবও পাল্টেছে। নিন্দুকেরা বলছেন, সেই কারণেই নাকি ফ্যানেরাও আজকাল তাকে আর তেমন পাত্তা দিচ্ছে না। যে সাধারণ মানুষ রানু মন্ডলকে স্টার বানিয়েছিল, তাদের সঙ্গেই আর ঠিকঠাক ব্যবহার করেন না রানু। ফ্যানেরা তাকে দেখে দৌঁড়ে এলে তিনি বিরক্ত হয়ে বলেন, গায়ের ওপর না উঠতে। তাদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও তার বড্ড অনীহা। লাইমলাইটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাণাঘাটের পুরনো বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতে উঠে যান রানু। তার কাছের মানুষরা জানাচ্ছেন, ইদানিং আর তেমন কাজ পাচ্ছেন না রানু। তাই মিডিয়ার মুখোমুখি হচ্ছেন না। এখন মিডিয়াও বিমুখ হয়ে পড়েছেন। নেটিজেনরা বলছে, অহংকারই কাল হল রানু মন্ডলের।