নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর তা নিয়ে বিক্ষোভের শেষ নেই। এর পাশাপাশি এনআরসি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। অসমের এনআরসি তালিকা বের হওয়ার পর হিন্দু মুসলিম সবার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল তারা নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখতে পারবে তো। কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যারা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবে না তাদেরকে এদেশ থেকে তাড়ানো হবে। তারপর থেকে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কোন তথ্য জরুরি তা নিয়ে খোঁজ চলে। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমানে যথেষ্ট নয় বলে অমিত শাহরা জানানোর পর মানুষ জানতে চেষ্টা করে তাহলে কিসের ভিত্তিতে প্রমাণ হবে যে তিনি ভারতের নাগরিক। তাই বহু লোক তথ্য জানার অধিকার আইনে জানার চেষ্টা করে যারা দেশের পরিচালনায় রয়েছেন তাদের কি কি নাগরিকত্ব প্রমাণের দলিল আছে। সত্যি কি তাদের নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট আছে? যে নিয়ে এক আরটিআই তথ্যে জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটে নেই। তিনি জন্মসূত্রে ভারতীয়। মোদির পর এবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের নাগরিকত্ব নিয়ে আরটিআই মারফত জানা গেল তারও নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট নেই।পর এবার জানা গেল নাগরিকত্বের প্রমাণ নেই হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টর ও রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যর।
তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের পর সরকার জানিয়ে দিয়েছে খট্টরের নাগরিকত্বের প্রমাণ নেই। এমনকি হরিয়ানার রাজ্যপালেরও নাগরিকত্ব বিষয়ে কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে। তারাও মোদির মতো জন্মসূত্রে ভারতীয়। এখন প্রশ্ন এই সমস্ত মানুষের যেখানে নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট নেই তাহাকে সাধারণ মানুষের কাছে নাগরিকত্ব প্রমাণ নিয়ে তথ্য পেশ নিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।