সিরিয়ার ইদলিবে সেখানকার সরকারি মদদপুষ্ট বাহিনীকে খতম করতে তুরস্ক সেনা পাঠিয়েছিল। সেই সেনা অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন স্প্রিং। সেই অভিযানে সিরীয় বাহিনীর হাতে ৫৯ যান তুর্কি সেনার মৃত্যু হওয়ায় জোরদার সিরীয় অভিযানের হুঁশিয়ারি দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। কিন্তু তুর্কি সেনারা মারছে কেন তা নিয়ে এরদোগানের সমালোচনায় মুখর হওয়ায় তুর্কি সংসদে বাধল হুলুস্থুল কাণ্ড। বিরোধী এক সাংসদ এরদোগান সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করায় এরদোগানের সাংসদদের সঙ্গে তার ঘুষোঘুষি শুরু হয়ে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়। কেউ কেউ ডেস্কের ওপর উঠে বিরোধীপক্ষকে ঘুসি মারেন। কেউ মারামারি থামানোরও চেষ্টা করেন। এ নিয়ে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে কিভাবে তুর্কি সাংসদরা মারপিট করছেন। সাম্প্রতিক কালে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি তুর্কি সংসদে। কারণ মারপিটের জেরে অনেক তুর্কি সাংসদকে মাটিতে পড়ে যেতেও দেখা গেছে।
বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির সাংসদ এনজিন ওজকোকের অভিযোগ, সাংবাদিক সম্মেলনে এরদোগান সিরিয়ায় নিহত সেনাদের প্রতি সম্মান দেখাননি তাই তিনি এরদোগানকে প্রেসিডেন্টকে বিশ্বাসঘাতক বলে মন্তব্য করেন। তাতে ক্ষেপে ওঠেন এরদোগানের সাংসদরা।
যদিও তার আগে এক ভাষণে এরদোগান বলেছিলেন, সিরিয়ার ইদলিবে তুর্কি সামরিক বাহিনীর লড়াই নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিরোধী দল তুরস্কের অমর্যাদা করেছে যা সে ডগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
তবে তুর্কি সংসদে মারপিট নিয়ে স্পিকার মুস্তাফা সেন্টপ এক বিবৃতিতে বিরোধী দলের সাংসদদের এরদোগান নিয়ে মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এছাড়া তুর্কি প্রেসিডেন্টকে অপমান করা নিয়ে একটি তদন্তও শুরু করেছেন সরকারি আইনজীবীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct