এরইমধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তানে অত্যাচারিত হওয়া হিন্দুদের জন্য ভারত নতুন করে নাগরিকত্ত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তাই এবার বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানেরও উচিত ভারতে অত্যাচারিত হওয়া মুসলিমদের আশ্রয় দেওয়া। বক্তা, বাংলাদেশের বির্তকীত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেন, 'দিল্লির দাঙ্গা বিধ্বস্ত এলাকা থেকে তিনদিন ধরে মুসলিমরা ঘটিবাটি লেপ তোশক কাঁধে করে নিয়ে যখন পালাচ্ছিল, কেউ ওদের প্রশ্ন করেছিল, কোথায় যাচ্ছে তারা? তারা তখন জানে না কোথায় যাচ্ছে। ওরা যদি বাংলাদেশে বা পাকিস্তানে যেতে চায়, আমার তখন মনে হচ্ছিল, ওদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া উচিত।' তিনি আরও বলেন, 'ধর্মের মতো হাস্যকর কল্পকথা দিয়ে দেশ ভাগ করা, মানুষ ভাগ করা খুব অন্যায়। কিন্তু আপাতত কিছু নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা ভাবতেই পারি দরজা খোলার কথা। ধনী হিন্দু বা ধনী মুসলমান তো নিরাপত্তার জন্য ইওরোপ বা আমেরিকায় চলে যায়। তখন তো কেউ প্রশ্ন করে না কেন যাচ্ছে! গরিবের তো প্রতিবেশিই সম্বল। ধর্মের কৃত্রিম কাঁটাতার ডিঙিয়ে যাওয়া শুধু। আসলে তো একই মাটির মানুষ সবাই। কোনও একদিন ধর্ম যখন জীবনের মূখ্য কোনও বিষয় থাকবে না, ধর্মের রাজনীতিরও জনপ্রিয়তা নষ্ট হবে, তখন এই উপমহাদেশ, এই দক্ষিণ এশিয়া এক হবে নিশ্চয়ই। মানুষের পরিচয় হবে তার মনুষ্যত্ব দিয়ে, ধর্ম দিয়ে নয়। সেদিন কবে আসে কে জানে। তার আগে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক, মৌলবাদ আর সন্ত্রাস বন্ধ হোক।'