১৬ বছর বয়সী সন্ধ্যা রাণী নামের এক কিশোরী কলেজের হোস্টেলে আত্মহত্যা করে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে কিশোরীর ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজার বক্সে লাশ টেনে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল স্থানীয় পুলিশ। মেয়ের ময়নাতদন্ত ঠেকাতে ফ্রিজার বক্সের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে সন্ধ্যার পিতা। এরপর মেয়ের বাবাকে সরাতে লাথি মারতে শুরু করে তেলেঙ্গানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদের পতনচেরুর একটি হাসপাতালে এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। ফ্রিজার বক্সে করে যখন মেয়ের লাশ নিয়ে হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে আসেন পুলিশের কয়েকজন সদস্য, তখন তাদের সামনে গিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন সন্ধ্যার বাবা। ওই সময় মেয়ের বাবার প্রতি কোনও ধরনের সহমর্মিতা না দেখিয়ে পতনচেরুর নারায়না কলেজ হাসপাতালের রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য উপর্যুপরি লাথি মারতে থাকে পুলিশ কর্মীরা।এর আগে নারায়না রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পাসে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে পড়তেন এই কিশোরী। হোস্টেলের বাথরুম থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আত্মহত্যার খবর পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কারণ জানতে চান বাবা-মা। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব না দিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করে। আর তখনই ঘটে যায় এই বিপত্তি।