ট্রেনারের মার খেয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তির ব্যাপক ক্ষতি হল প্রশিক্ষণরত এক সাঁতারুর। ঘটনাটি ঘটেছে সার কলকাতার এক সুইমিং পুলে।হেদুয়ার ন্যাশনাল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের ভিতরে ট্রেনারের মারে সাঁতারুর চোখের ক্ষতিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আহত সাঁতারুর না। অপরাজয় চন্ডী বোস। বয়স ১৪। সে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। দাশ বছর ধরে সে এখানে সাঁতার শিখছে। একাধিকবার ইন্টার স্কুল মিটে জাতীয় স্তর থেকে ও পুরস্কার নিয়ে এসেছে অপরাজয়। শনিবার সন্ধ্যায় ট্রেনার প্রবীর বসাকের কাছে মার খেয়ে ওখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে অপরাজয়। বমি করতে শুরু করে কানে এবং মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়। কানের দু'পাশেই ক্ষতচিহ্ন হয় । চড় ঘুষির জন্যই আঘাত বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে বমি করতে করতে থাকায় পরিবার তাকে নিয়ে ছোটেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ইএনটি বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর জানানো হয় কেন থেকে যে রস বেরোচ্ছে তার জন্য বড়সড় কোন ক্ষতি নেই। সেখান থেকে পাঠানো হয় জেনারেল সার্জারী বিভাগের। সিটি স্ক্যান করানো হয়। এক্সরে সহ একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। কোন ইন্টারনাল হেমারেজ না মেলায় সেখান থেকে রেফার করা হয় রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ ওফ্থালমলজি বা চোখের বিভাগে। সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধরা পড়ে এই আঘাতের ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হয়েছে । তার মাত্রা কমে গিয়েছে। সোমবার ফের অপরাজয় কি নিয়ে যাওয়া হয় রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ ওফ্থালমলজিতে। অধিকর্তা অসীম ঘোষ দেখে বলেন আঘাতের কারণে এই ক্ষতি হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ বারবার ন্যাশনাল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন কর্তাদের বললেও কোন ফল মেলেনি। অভিযুক্ত প্রশিক্ষক ট্রেইনার প্রবীর বসাকের বিরুদ্ধে বড়তলা থানায় অভিযোগ করেছেন। সোমবার রাতে সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন থেকে অপরাজয় র পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তার বাবা সন্দীপ বোস ও মা মিতা বোসের পরিবারের অভিযোগ, যেখানে ছোটরা প্রশিক্ষণ নিতে যায় সেখানে এইভাবে মারধোর তো প্রাণহানি ঘটাতে পারে। কর্তৃপক্ষ কেন ব্যাবস্থা নিচ্ছেন না? যদিও সুইমিংপুলের সেক্রেটারি সনৎ ঘোষ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct