উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর হাসপাতালে অক্সিজেনের এভাবে শিশুমৃত্যুর মিছিল থামিয়ে হিরো হয়ে উঠেছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. কাফিল খান। তাকে তবু কারব্যের গাফিলতির অভিযোগে ও শিশু মৃত্যুর খবর চাউর করে যোগী সরকারের দুর্নাম করার দায়ে গ্রেফতার হতে হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন যোগী সরকারের রোষ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কাফিল খান। গত ১২ ডিসেম্বরে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছিলেন কাফিল খান। তা মনঃপুত হয়নি যোগী আদিত্যানাথ সরকারের। তাই তাকে ২৯ জানুয়ারি মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে প্রথমে সিএএ বিরোধী সভায় উস্কানি মূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়। এবার তাকে ফের জাতীয় সুরক্ষা আইন বা এনএসএ যে গ্রেফতার করে পাঠানো হল মথুরা জেলে। সেখানেই এখন বন্দি রয়েছেন কাফিল খান।
এ ব্যাপারে আলীগড়ের পুলিশ সুপার আকাশ কুলহারি বলেছেন, এনএসএ আইন লাগু করা হয়েছে ডা. কাফিল খানের বিরুদ্ধে। তাই তাকে এখন জেলে থাকতে হবে।
তার ভাই আদিল খান অভিযোগ করেন, কাফিল খানকে কোনো ভাবেই মুক্তি দিতে চাইছে না যোগী সরকার।
তিনি আরো জানান, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ায় কাফিল খানের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগ এনে গ্রেফতার করে মথুরা জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান। তারপর তাকে এনএসএ আইনে গ্রেফতার করে মথুরা জেলেই রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, এনএসএ আইনে এক বছর পর্যন্ত বিনা বিচারে আটক রাখা যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct