দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর কেজরিওয়ালের জয়ের জন্য কি কি অনুঘটক কাজে লেগেছে তা নিয়ে জোর জল্পনা তুঙ্গে। তবে আপ নিজেই জানিয়েছে, বিজেপির জয় শ্রীরামের পাল্টা হিসেবে টসরা জয় বজরংবলি বা হনুমান চালিশা ব্যবহার করেছে। ফলে বিজেপির জয় শ্রীরাম কোনো কাজে আসেনি। এভাবে ধর্মীয় স্লোগানের দ্বন্দ্বে মেতে উঠেছে দিল্লি। এবার পশ্চিমবঙ্গেও জয় শ্রীরামের পাল্টা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি নয়া স্লোগান ঢাল করতে চাইছেন। সেই প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে বাঁকুড়ায় মঙ্গলবারের মমতার জনসভা। তৃণমূলের দলীয় কর্মিসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে মমতা বলেছেন, বিজেপির টাকার চেয়ে শঙ্খ-উলুধ্বনি কিংবা আজানের ধ্বনি অনেক বেশি শক্তিশালী। অর্থাৎ মমতা বোঝাতে চেয়েছেন টাকা কিংবা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণ করার চেষ্টা বিজেপির কাজে লাগবে না। কারণ, মমতার কাছে মনে হয়েছে উলুধ্বনি আর আজানের ধ্বনি অনেক বেশি জোরের। আর সেটাই বিজেপিকে পতন ডেকে আনবে। তাই মমতা রাখঢাক না রেখে মোদির উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনাদের টাকার চেয়ে আমার মা-বোনদের শঙ্খ-উলুধ্বনির জোর অনেক বেশি। আজানের ধ্বনি’র জোর বেশি। আমার আদিবাসী ভাইবোনেদের ধামসা-মাদল আর বাউলের গানের জোর অনেক বেশি শক্তিশালী।
বিজেপি জয় শ্রীরাম দিয়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা করলে দিল্লির মতো উলুধ্বনি আর আজানের ধ্বনি যে তিনি ঢাল করবেন সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর তাই তিনি দাবি করেছেন, এ রাজ্যে বিজেপির কলসি ভেঙে যাবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে।