জন্ম নেওয়ার আগে আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী অনাগত শিশু ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্মাবে বলে চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে ছিলেন। যদিও ডাক্তারদের সেই আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করে বাস্তবে যে শিশুটি পৃথিবীতে এসেছিল, সে সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক। তখনই মা শাকিলা মনে মনে নিয়ত করেছিলেন, তাঁর ওই সন্তানটিকে তিনি কোরআনে হাফেজ বানাবেন। বাস্তবে সেটাই হয়েছে। তাঁর মেয়ে শুধু ত্রিশ পারা কোরআন শরিফ মুখস্থ করেনি, এখন সে সারা পৃথিবীর মুসলিম তরুণ সমাজের আইকন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মারইয়াম মাসুদ। বাবা-মা আর তিন বোনের সঙ্গে সে বাস করে নিউজার্সির সমারসেটে। বাবা–মা দুজনেই বাংলাদেশি। তবে মারিয়ামের জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা আমেরিকায়। ভিনদেশে, ভিন্ন সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা একটি শিশু মাত্র নয় বছর বয়সে কোরআনে হাফেজ হয়েছে। মাত্র তিন বছর বয়স যখন, তখনই তার সুরেলা কণ্ঠের কোরআন পাঠ বিস্মিত ও মুগ্ধ করত সবাইকে। সাত থেকে নয়, দুই বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর অবশেষে মারইয়াম ত্রিশ পারা পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছে। মারইয়াম এখন গাইড ইউএস টিভিতে ‘কোরআন উইথ মারইয়াম’ শীর্ষক শিশুদের একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছে। মারইয়াম বহু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ইউটিউবে তার ভিডিও দেখতে সবার খুব আগ্রহ। মারিয়ামের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও ইউটিউব মিলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ইতিমধ্যে ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct