স্বামী বিবেকানন্দ নাকি ক্রিকেট খেলতেন। ১৮৬৩ সালে জন্ম নেওয়া বিবেকানন্দ নাকি আবার ইডেন গার্ডেন্সে ক্রিকেটে খেলেছেন। স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র থাকতে তিনি নিজেও অনেক খেলায় অংশ নিয়েছেন। শরীরচর্চায় অনেক সময় দিয়েছেন নানা আখড়ায়। ফুটবল, ফেন্সিং ও বক্সিংয়ে বেশ হাত পাকিয়েছিলেন বিবেকানন্দ। ক্রিকেটে এসেছিলেন ঐতিহ্যবাহী টাউন ক্লাবের মাধ্যমে। ১৮৮৪ সালে এ ক্লাবের গোড়াপত্তন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর মশুয়া গ্রামে বিখ্যাত রায় চৌধুরী পরিবারের সন্তান—গণিতবিদ ও উপমহাদেশে ক্রিকেটের অগ্রদূত সারদারঞ্জন রায়ের হাতে। তিনি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ। ১৭৯২ সালে ব্রিটিশদের গঠন করা কলকাতা ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে তখন জমাট লড়াই হতো টাউন ক্লাবের। ব্রিটিশশাসিত ভারতের বিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘোষের সঙ্গে একদিন আড্ডা দিচ্ছিলেন বিবেকানন্দ। সে আড্ডাতেই বিবেকানন্দকে ক্রিকেট খেলার প্রস্তাব দেন হেমচন্দ্র। সে প্রস্তাবে এক কথায় রাজি হয়ে যান বিবেকানন্দ। এরপর হেমচন্দ্র ঘোষের তত্ত্বাবধানে বেশ হাত পাকিয়ে ফেললেন বোলিংয়ে। এরপর নামলেন ইডেনে, সেদিন কলকাতা ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল টাউন ক্লাব। ইডেনের বয়স তখন প্রায় ২০ বছর। ইডেনে তখন ক্রিকেট লড়াইয়ে মুখোমুখি হতো শাসক (ব্রিটিশ) ও শাসিত (ভারতীয়)।বিবেকানন্দ টাউন ক্লাব দলের বোলার। খেলার উত্তেজনায় প্রায় আবেগতাড়িত হয়ে উঠছিলেন বিবেকানন্দ। শান্ত থেকে তাঁকে নিজের বোলিংয়ে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন হেমচন্দ্র। এরপরই ব্রিটিশরা স্কোরবোর্ডে ২০ রান যোগ করার মধ্যে বিবেকানন্দ নিলেন ৭ উইকেট!