বিশেষজ্ঞরা সব সময় তেলজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবু দিন দিন ঘরে-বাইরে এমন খাবারের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে তেল বা চর্বিজাতীয় খাদ্যের ভেতর ক্ষতিকর মাত্রায় রাসায়নিককে দায়ী করে আসছিলেন চিকিৎসকরা।বিশেষ করে তেল ও ডালডায় ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে দেশে ডালডার ব্যবহার রীতিমতো বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানিয়ে দ্রুত এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেখাচ্ছেন তাঁরা। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, 'ভোজ্য তেল এবং ডালডা-বনস্পতির মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ (টিএফএ) হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। দেশে এত দিন তেলে ট্রান্স ফ্যাটের কোনো মাত্রা নির্ধারণ করা ছিল না। সম্প্রতি সরকার তা ২ শতাংশ (১০০ গ্রামে ২ গ্রাম) নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডালডায় ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে বলে তথ্য আছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছে।' ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষণা থেকে উঠে এসেছে, প্রতি বছর ১০ লক্ষ মানুষ হৃদরোগে মারা যায়। আর এই রোগের অন্যতম প্রধান কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ। খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে ট্রান্স ফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) নামক এক ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ ধমনিতে রক্ত প্রবাহ বন্ধ করে মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করে। উচ্চমাত্রায় ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণের কারণে সার্বিকভাবে মৃত্যুঝুঁকি ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে। যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২১ শতাংশ এবং হৃদরোগজনিত মৃত্যুঝুঁকি ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct