বর্তমান সময়ে পুরুষরা ফুসফুসের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এই ক্যান্সার প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়লে প্রাণহানির কোনও আশঙ্কা থাকে না। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার অনেক উদাহরণ রয়েছে।যদিও সমস্যা হল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণগুলো ধরা পড়ে না। যখন সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে ও রোগ নির্ণয় করা হয়, তখন রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।ইউরোলজিস্টদের মতে, পুরুষদের বয়স ৫০ পার হওয়ার পর এই অসুখের শঙ্কা বাড়ে। পিএসএ টেস্ট বা প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট করে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। সাধারণত রক্তে পিএসএ-র মাত্রা ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাকে। অনেক সময় পরীক্ষা করে দেখা যায় বহু মানুষের রক্তে পিএসএর মাত্রা চারের বেশি রয়েছে। এই মাত্রা ৪ ছাড়ালেই অসুখ বাসা বেঁধেছে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং নিশ্চিত হতে ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট করাতে হয়। তাতে যদি কোনো রকম স্ফীতি লক্ষ করা যায়, তাহলে বায়োপসি করানো হয়।' জেনে নিন এই রোগের কিছু উপসর্গ।
১. প্রস্রাবের গতি কমে এলে সচেতন হোন। মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে এই জাতীয় সমস্যা কিনা সেটা পরীক্ষা করান।
২. প্রস্রাবের সময় কোনো প্রকার জ্বালা, রক্তপাত বা ব্যথা টের পেলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিন সেগুলো কোনো সংক্রমণের কারণে হচ্ছে কি না।
৩. এই রোগে পড়লে তলপেটের সঙ্গে কোমর-মেরুদণ্ডেও ব্যথা হয়।
৪. এই অসুখ শরীরে দানা বাঁধলে সঙ্গমের সময় বীর্যের সঙ্গে রক্তপাত হয়। কখনও প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।
৫. প্রস্রাবের রং খেয়াল করুন। তা স্বাভাবিকের চেয়ে গাঢ় রঙের বা লালচে আভাযুক্ত হলে এবং তলপেটে ব্যথা হলে সচেতন হওয়া জরুরি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct