ক'দিন আগে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বনাঞ্চলের অনেকটাই দাবানলের আগুনে পুড়ে গিয়েছে। তার ক'দিন আগে একইভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অ্যামাজনের জঙ্গলের অনেকাংশ।এতে প্রচুর প্রাণী মারা যায়। আপনি জানেন, এই ইন্টারনেটের দুনিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু আপলোড কিংবা আপনার মেইল আদান-প্রদানের ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য কতটা দায়ী? বিশ্বে প্রতি মিনিটে পাঠানো মেইল থেকে যে পরিমাণ কার্বন নির্গমন হয়, সেটা ২১ হাজার কিলোগ্রাম কয়লা পোড়ানোর সমান। শুধু মেইল’নয়, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কিংবা ফেসবুকে ছবি বা কারো স্ট্যাটাসে লাইক এমনকি ইউটিউবে ভিডিও বা সিনেমা দেখলেও কার্বন নির্গমন হয়। এক ব্রিটিশ এনার্জি কোম্পানির রিসার্চে জানা গেছে, ব্রিটেনে প্রতিদিন ৬ কোটি ৪০ লাখ অপ্রয়োজনীয় ইমেল করা হয়। যার মধ্যে বেশিরভাগটাই থ্যাঙ্ক ইউ মেইল। জানে ফেসবুক বা মেইল থেকে যেভাবে কার্বন নির্গমণ হয়..
১. আপনার পাঠানো প্রতিটি মেইল বা ফেসবুক পোস্ট একটি ডেটা সেন্টারে গিয়ে স্টোর হয়। এই ডেটা সেন্টারের শক্তি লাখ লাখ পার্সোনাল কম্পিউটারের সমান।
২. এই ডেটা সেন্টারগুলো একটি ছোট শহরের সমপরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
৩. সারাবিশ্বে উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ এই ডেটা সেন্টারগুলো ব্যবহার করে।
৪. কয়লা অথবা গ্যাস দিয়ে বেশিরভাগ বিদ্যুতের উৎপাদন হয়, ফলে প্রতিদিন পাঠানো কোটি-কোটি মেইল বা সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct