বর্তমান যুগে সাধারণ মানুষের কিডনিতে পাথর, খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহিলা কিংবা বা পুরুষ সবাই এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই পাথর ক্ষতিগ্রস্ত করছে শরীরের কিডনিকে। আর দেরিতে এই রোগ ধরা পড়ায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। যদিও আমরা চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দূর করতে পারি কিডনির পাথর। অনেকের প্রশ্ন, কিডনি পাথর কী? আসলে কিডনির ভেতরে মিনারেল জমে ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মতো পদার্থ তৈরি করে। একে কিডনি পাথর বলা হয়। অর্থাৎ ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটের ডিপোজিশন হলে এই রোগের উৎপত্তি হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে বমি বমি ভাব বা কখনও কখনও বমি হওয়া। তলপেটের নিচে এবং কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া। পাঁজরের নিচে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়া এবং এই ব্যথার তীব্রতা ওঠা নামা করে। প্রস্রাব করতে গেলে ব্যথা হওয়া এবং কালচে লাল, লাল কিংবা বাদামি রঙের প্রস্রাব হওয়া। বারবার প্রস্রাব পাওয়া এবং স্বাভাবিকের তুলনায় প্রস্রাব বেশি পরিমাণে হওয়া। দুর্গন্ধ ও ফেনার মতন প্রস্রাব। কিডনিতে পাথর বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের অবদান অনেক। প্রচুর পরিমাণে জল পান করা কিডনিতে পাথর নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে।
তবে কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর প্রতিকারের চেষ্টা করা যেতে পারে। প্রথমত, কিডনিতে পাথর হলে আমাদের প্রচুর জল পান করতে হবে। খুব ছোট আকারের পাথর দেখা দিলে পরিমাণমতো জল পানের মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। এছাড়া তুলসী পাতায় থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কিডনির পাথরকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত দুবার করে তুলসীর রস খান। আর তুলসীর পাতা দিয়ে চা করেও পান করতে পারেন। পাতিলেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামজাত পাথর তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে এবং ছোট পাথরগুলোকে ভেঙে বের করে। রোজ সকালে জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশ্রিত করে পান করুন অথবা দিনের যেকোনো সময়ে লেবুর রস পান করুন। সবচেয়ে ভালো বেদানার রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কিডনিকে সুস্থ রাখতে এবং পাথর ও অন্যান্য টক্সিনকে দূর করতে সাহায্য করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct