কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু নিউপাদাপু গ্রামের বাসিন্দা ৬৮ বছর বয়সী হাজেকালা হাজাব্বার দিন কাটে হাম্পনকাট্টা বাজারে কমলালেবু বিক্রি করে। তাতে কি। এই সামান্য রোজগার দিয়েই নিজের গ্রামে স্কুল গড়েছেন। সেই স্কুল এখন ১০ বছরে পড়ল। ২০০০ সালে নিজ গ্রামে স্কুল তৈরি করে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে চলেছেন হাজাব্বা। ঋণ করে স্কুলের জন্য জমি কিনেছেন।সেই কৃতিত্ব তাকে এবার পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছে। হাজাব্বার এই স্কুল তৈরির পিছনে রয়েছে এক ইতিহাস।
একবার এক বিদেশি তার কাছে কমলালেবুর দাম জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু তার ভাষা বুঝতে পারেননি লেখাপড়া না জানা হাজাব্বা। তিনি শুধু জানেন স্থানীয় টুলু ও বিয়ারী ভাষা। তাই দুঃখ থেকে যায় লেখাপড়া না শেখার। তাই নিজের গ্রামে স্কুল খোলার উদ্যোগ নেন। নিউপাদাপু মসজিদের মধ্যে শিশুদের স্কুল চালু করেন। সেখান থেকেই শুরু শিক্ষার আলো জ্বালানো। এরপর ঋণ করে কেনা জমিতে গড়ে ওঠে নতুন স্কুল ক্যাম্পাস। তবে পদ্মশ্রী পাওয়ার খবর পেয়ে হাজাব্বা বেজায় খুশি। তার আশা এবার হয়তো সরকার তার গ্রামে কলেজ করে দেবেন।
হাজাব্বার নতুন স্কুল এখন দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ। মসজিদে স্কুল শুরু করা হাজাব্বা অবশ্য নতুন স্কুলে ইসলামী নিশান না রেখে আধুনিক শিক্ষা ও মনীষীদের স্মরণ করে চলেছেন। স্কুলের এক একটি ক্লাস ঘরের নামকরণ করা হয়েছে মহাকাশচারী কল্পনা চাওলা, রানী আবাক্কার নামে। স্টাফ রুম করা হয়েছে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের নামে। আর ল্যাবরেটরি করা হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দর নামে।
তবে তিনি ভুলতে চান না মসজিদে স্কুল শুরু করার স্মৃতি। তিনি স্বীকার করেন, মসজিদে স্কুল করার সুযোগ পরবর্তীতে নতুন স্কুলক্যাম্পাস করার পথ দেখিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct